নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদে উত্তেজনা চলছে। পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানার সঙ্গে ইউপি সদস্য সেতাবুর রহমানের চরম দ্বন্দ্বে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বিভিন্ন ভাবে জানা যায়।
ঘটনা নিয়ে উভায় পক্ষেই রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক ৬ নং মাটিকাটা ইউপি’র ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককের উপর।
রাজশাহীতে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করানোর এবং প্রাণনাশের হুমকি ৬ নং মাটিকাটা ইউপি পরিষদের সদস্যগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুজ্জামান নুরু (মেম্বার) এবং ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সেতাবুর রহমান বাবু (মেম্বার) নেতৃত্বে গন্ডা বাহিনী বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখিয়ে সাদা কাগজে সহি করানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত এই বিষয়ে ৬নং মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬ নং মাটিকাটা ইউপি সদস্য সহ রেজুলেশন স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের বরাবর সু বিচারের জন্য।
মাটিকাটা ইউপি সচিব ও কয়েকজন সদস্যের অভিযোগে জানা গেছে, ইউপি সদস্য সেতাবুর রহমান সম্প্রতি একটি মেয়ের জন্মনিবন্ধনে বয়স সংশোধনের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। সম্ভব নয় বলে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল সেটি করতে অস্বীকার করেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মধ্যে সৃষ্টি হয় দন্ধের প্রতিহিংসা।
চেয়ারম্যান পক্ষের দেওয়া অভিযোগ উঠে এসেছে, ৮নং ইউপি সদস্য সেতাবুর রহমান ৬ এপ্রিল পরিষদ ভবনে প্রবেশ করে ইউপি সচিব সাব্বির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে ইউপি সদস্য সেতাবুর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অন্যদিকে সদস্য সেতাবুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করে বলেছেন, ইউপি সচিব সাব্বির হোসেন জন্মনিবন্ধন সার্ভারের সরকারি পাসওয়ার্ড বাইরের দোকানে দিয়ে রেখে ব্যবসা করছেন। এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সোহেলের মদত রয়েছে।
সেতাবুর রহমান আরও বলেন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের পাসওয়ার্ড বাইরের কোনো কম্পিউটারের দোকানে দেওয়ার নিয়ম নেই এবং এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ইউপি সচিব কম্পিউটারের দোকানে পাসওয়ার্ড দিয়ে অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ০৬ এপ্রিল ২২ ইং তিনি এসব কাজেরই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন। সচিবের এই অপকর্মের রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়ায় মারধরের হুমকির মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
সেতাবুর রহমান অভিযোগে বলেন, চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে তার ওয়ার্ডে কোনো কাজ দিচ্ছেন না। তার এলাকাকে বঞ্চিত করছেন। বিভিন্ন সরকারি সুবিধা বণ্টনেও তার এলাকাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এসব নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার টানাপোড়েন চলছে। চেয়ারম্যান ও সচিব মিলে তাকে অতীতে কয়েকবার হেনস্থা করার চেষ্টা করেছেন। তিনি এসবের প্রতিবাদ করেছেন মাত্র।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন,অত্র পরিষদে সদস্য সেতাবুর রহমান শুরু থেকেই নানান কাজে কর্মে অসহযোগীতা করে আসছেন। ঘটনার দিন সচিবের কক্ষে ঢুকে তাকে মারধরের হুমকি দিয়েছেন। এ জন্য অন্যান্য ইউপি সদস্য ও সচিব জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ডিজিটাল সেন্টারের পাসওয়ার্ড বাইরের কোনো কম্পিউটারের দোকানে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।