গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশ কনষ্টেবলে চাকুরী দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহিতা পুলিশ কনষ্টেবল ফরিদুল ইসলাম ও ঘুষদাতা আব্দুর রশিদের শাস্তির দাবী জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও সচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়নের উলিপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের আব্দুর রশিদ তার ছেলে মোঃ কাওছার (২১) মিয়াকে, একই উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের (জীবনপুর) গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে দিনাজপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত কনষ্টেবল ফরিদুল ইসলাম ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে পুলিশ কনষ্টেবল পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।
এ নিয়ে আব্দুর রশিদ গত ১লা আগষ্ট/২২ আইজি বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করা হলে, নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। নিজের চাকুরী বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে ঘুষখোর কনষ্টেবল ফরিদুল ইসলাম মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামের মধ্যস্থতায় তার ভগ্নিপতি রাহেনুল ইসলামের দ্বারা ঘুষের ১০ লাখ টাকা অভিযোগকারী আব্দুর রশিদকে বুঝিয়ে দেন।
এ নিয়ে অত্র উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজের মধ্যে নানা প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে। এসব অমানুষের কারনে শিক্ষিত মেধা সম্পন্ন ছেলেরা সমাজে চাকুরী পাচ্ছে না। তাই ঘুষ গ্রহিতা ও ঘুষদাতা উভয়কেই আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হউক। এটাই এখন সচেতন মহলের সময়ের দাবী।