আমিনুল ইসলাম: সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ,সাগরইল ব্লকের, লেবু ডাঙ্গা গ্রামে,২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রবি/২০২৩-২৪ মৌসুমী কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে বোরো ধানের হাইব্রিড জাতের (SL8H)সমতল চাষাবাদের নিমিত্তে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র দ্বারা ধানের চারা রোপণ কর্মসূচির, উদ্বোধন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ( ২০২৪) সকাল এগারোটায়,মাঠ দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন এবং সভাপতিত্ব করেন।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও ) নিশাত আনজুম আনন্যা, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন রেজা, স্বাগত বক্তব্য রাখেন,উপজেলা কৃষি অফিসার তানভীর আহমেদ সরকার।
বিশেষ অতিথি: হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গোমস্তাপুর উপজেলা ভূমি কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস ,গোমস্তাপুর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান (নুহু), রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান , আরো উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার সেরাজুল ইসলাম, উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উপ-সহকারী আব্দুর রাকিব, উপ-সহকারী গানিউল ইসলাম, উপ-সহকারী আব্দুল আউয়াল,উপ-সহকারী ইব্রাহিম খলিল, উপ-সহকারী ফুয়াদ সহ উপজেলা কৃষি দফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে থেকে আসা কৃষক গন।
অধিকতর দক্ষতা এবং শ্রম ও সময় সাশ্রয়ী উপায়ে কৃষি উৎপাদন, সংরক্ষণ শ্রম ও অর্থের সাশ্রয় হয়, সেই সাথে ফসল আবাদের দক্ষতা, নিবিড়তা, উৎপাদনশীলতা ও শস্যের গুণগতমান বৃদ্ধি পায় এবং কৃষিকাজ লাভজনক ও কর্মসংস্থানমুখী হয়। এ ছাড়াও প্রতিকূল পরিবেশে যন্ত্রের ব্যবহার উৎপাদন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সূচনা হয়। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে কৃষি যন্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে। সদ্য স্বাধীন দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে দ্রুততম সময়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক কৃষিযন্ত্র সম্প্রসারণে এটি ছিল ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। সে ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কৃষিকে লাভজনক কৃষিতে রূপান্তর করা। আধুনিকীকরণের জন্য নির্দেশ দেন । কৃষি যন্ত্র হারভেস্টার, রিপার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্রগুলো প্রকল্পে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং উক্ত যন্ত্রগুলো উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকির) মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। ভর্তুকি সুবিধাসহ আধুনিক যন্ত্রনির্ভর কৃষি প্রান্তিক পর্যায়ে পরিপূর্ণভাবে পৌঁছানো সময় সাপেক্ষ হলেও এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের কাক্সিক্ষত কৃষিযন্ত্র কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।