মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৪ অপরাহ্ন
ঘোষনা
রাজশাহী জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্বাস্থ্য প‌রি‌ষেবায় নতুন মাইলফলক স্থাপন করল কোলকাতার ডিসান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ভ্যানচালক আটক প্রাণের মেলা জাতীয় কবি পরিষদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত নিষিদ্ধ সংগঠনের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যাবস্হা নেয়া হবে। নেছারাবাদে পুলিশ সুপার আবু নাসের পাসপোর্টে থাকছে না পুলিশ ভেরিফিকেশন শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ভোলায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আনন্দ মিছিল শরীয়তপুর এসএসসি ২০০০ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত:৮১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক! নাটোরের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেফতার, ট্রাক জব্দ

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে গুপ্তছরা ঘাটে সিরিয়াল কার্ডের নামে সিএনজি চালকদের থেকে চলছে নিরব চাঁদাবাজী।

রিয়াদুল মামুন সোহাগ
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২
  • ৩২৮ বার পঠিত

গুপ্তছড়া নৌ-ঘাটে ‘লাইনম্যানের খরচের’ নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে অকটেন চালিত সিএনজি চালক সমিতির আহবায়ক জাহাঙ্গীর ও তার তিন সহযোগী সাইফুল,জাহাঙ্গীর ও শাকিলের বিরুদ্ধে।আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে চাঁদাবাজ চক্রটি।

এই বিষয়ে একাধিক সিএনজি চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়,চট্টগ্রাম থেকে আসা যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে গুপ্তছড়া ঘাট থেকে বের হওয়ার সময় প্রতিটি সিএনজি ড্রাইভারকে প্রতিবার দিতে হয় ১০ টাকা চাঁদা।প্রতিদিনই চলে এমন নিরব চাঁদাবাজী।

সন্দ্বীপের প্রধান এ ঘাট দিয়ে স্টীমার,স্পীড বোট ও ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকায় প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে।দুই ঈদে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে হয় দুই-তিন গুনের বেশি।এসব যাত্রী পরিবহনে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ সিএনজি ঘাটে আসা যাওয়া করে।চাঁদাবাজি বাবদ প্রতিদিন ৫০০০টাকা হলে মাসিক আয় দাঁড়ায় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা আর বছরে ১৮ লক্ষ টাকা।

চাঁদাবাজির বিষয়টি স্বীকার করে সিএনজি চালক সমিতির আহবায়ক জাহাঙ্গীর বলেন,শৃংখলা আনতে দুই-তিন জনকে বেতন দেই বলে ১০টাকা করে নিয়ে থাকি।

শৃংখলার নামে এটা এক ধরনের চাঁদাবাজি বলে মন্তব্য করছেন সাধারণ যাত্রীরা।তাদের দাবি মাসিক দেড় লক্ষ টাকা দুই জন লাইন ম্যানের বেতন হতে পারে না কিন্তু বাকি টাকা যায় কোথায়?

এই বিষয়ে ঘাট ইজারাদার মগধারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এটা করা হয়েছে।এখানে দুই জন লাইন ম্যান ডিউটি করে আর এই ১০টাকা করে তারা নিচ্ছে এটাই তাদের বেতন।

শৃঙ্খলা রক্ষার নামে যদি প্রতিদিন ৫০০০টাকা,মাসিক দেড় লক্ষ টাকা বা বছরে ১৮ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় হয় তাহলে বাকী টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে এই বিষয়ে কোন সৎ উত্তর নেই।সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন দুইজন লাইন ম্যানের বেতন বছরে ১৮ লক্ষ টাকা হতে পারে না বাকী টাকা কোথায় যাচ্ছে?জনগণের প্রশ্ন থেকেই যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
কারিগরি সহযোগিতায়ঃ Bangla Webs
banglawebs999991