রিয়াদুল মামুন সোহাগঃ
চট্টগ্রামের হালিশহরে রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়ার আসর জমে প্রায় প্রতিদিনিই।গতকাল র্যাব-৭ এর হাতে আটক বিপুল পরিমান ক্যাসিনো ও জুয়ার সামগ্রীসহ ৫৩ জুয়াড়ি।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭ এর অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগরীর হালিশহর থানাধীন পোর্ট কানেকটিং হালিশহর মার্ট এর উত্তর পাশে নবাব টাওয়ারের ০৩ তলায় রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে ক্যাসিনো ও জুয়া খেলার উদ্দেশ্যে অনেক লোক সমেবত হয়েছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১১ই জুন রাত ১০টায় র্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে জুয়া খেলারত অবস্থায় ৫৩ জনকে আটক করে।
আটককৃত আসামী ১।ফেরদৌস আলম(৫৭),পিতা-মৃত আব্দুর সাত্তার,২।দিদারুল আলম(৫০),পিতা-মৃত ফজলুল করিম,৩।সাইফুল ইসলাম(৪১),পিতা-নুর আউয়াল,৪।শাহাবুদ্দিন(৬২),পিতা-হুমায়ুন কুদ্দুস,৫।আবুল কালাম আজাদ(৬৬),পিতা-মৃত হাজী মফিজ আলী,৬।দেলোয়ার হোসেন(৪০),পিতা-সুফিয়ান,৭।আলা উদ্দিন(৫০),পিতা-মৃত আবুল কাশেম,৮।শহিদ উল্লাহ(৪৭),পিতা-মৃত আব্দুল মালেক,৯।জাকির হোসেন(৫৩),পিতা-মৃত আনোয়ার হোসেন,১০।তাওহিদুল মাওলা(৫১),পিতা-মৃত ফরিদ উল্লাহ মাওলা, ১১।গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ(৫৯),পিতা-মৃত জাফর আহম্মেদ,১২।মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫২),পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, ১৩। মোঃ আব্দুস সালাম (৭২), পিতা- মৃত বাদশা মিয়া, ১৪। মোঃ জাকির হোসেন (৬৪), পিতা- মৃত আবু বক্কর আহম্মদ, ১৫। মোসাদ্দেক (৫৮), পিতা- শামছুল হুদা, ১৬। সুধীর দাস (৭২), পিতা- মৃত এনবি দাস, ১৭। নোমান (৪৮), পিতা- মৃত দেওয়ান আব্দুল, ১৮। কাজী মোঃ জাকারিয়া (৫৬), পিতা- মৃত কাজী হাসমত আলী, ১৯। মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৮), পিতা- মোঃ দাউদ সিকদার, ২০। মোঃ সাইফুল আজম (৪২), পিতা- সিরাজুল ইসলাম, ২১। মোঃ ফজলুল করিম (৫৪), পিতা- মৃত হাজী শাহজাহান মিয়া, ২২। মাহফুজজুর রহমান (৪৫), পিতা- মৃত অহিদুর রহামন, ২৩। মোঃ হেলাল উদ্দিন (৬০), পিতা- মৃত রতন ব্যাপারী, ২৪। মোঃ বাবু (২৭), পিতা- মোঃ ইমাম আলী শেখ, ২৫। মোঃ শামসুল ইসলাম (৫৩), পিতা- মৃত আব্দুর রাজ্জাক, ২৬। উৎপল চৌধুরী (৪৬), ২৭। রবি শংকর (৪৩), পিতা- মৃত জলধির মল্লিক, ২৮। মোঃ জসিম (৩৭), পিতা- মৃত আবু, ২৯। মোঃ সোহরাফ হোসেন (৪২), পিতা- মৃত আব্দুল হাই, ৩০। কাজী মোজাহিদুল ইসলাম @ নওশাদ (৫২), পিতা- মৃত কাজী আনসারুল হক, ৩১। মহিউদুল্লা @ কাজল (৫৭), পিতা- মৃত সিরাজ দৌলা, ৩২। মোঃ আরিফুল ইসলাম (৪২), পিতা- মৃত শাহাজাহান, ৩৩। মোঃ ওহিদুর রহমান (৬৩), পিতা- মৃত শাহাদাৎ হোসেন, ৩৪। মোঃ আমিরুল ইসলাম (৬২), পিতা- মৃত ইশাত আলী, ৩৫। গোলাম রসুল (৬২), পিতা- মৃত আব্দুল আওয়াল, ৩৬। আব্দুর রশিদ (৪৭), পিতা- অহিদুর রহমান, ৩৭। মোঃ নুরুল ইসলাম (৬৪), পিতা- মৃত হারুনুর রশিদ, ৩৮। মাহবুব নবী চৌধুরী (৫৭), পিতা- মৃত নুরুন নবী চৌধুরী, ৩৯। মোঃ ফরিদ (৪২), পিতা- মৃত জালাল আহম্মদ, ৪০। আব্দুর শুক্কুর (৫৫), পিতা- মৃত নজু মিয়া, ৪১। মোঃ আবুল হাসান (৩২), পিতাঃ মৃত আবুল বাশার, ৪২। মোঃ শহীদুল ইসলাম সাগর (২৪), পিতাঃ আব্দুল জলিল, ৪৩। মোঃ সুমন চৌধুরী (৩৫), পিতাঃ মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী, ৪৪। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫০), পিতাঃ মৃত ইউনুছ, ৪৫। মোঃ ওমর ফারুক (৫২), পিতাঃ মৃত রফিকুল ইসলাম, ৪৬। মোঃ সোহাগ (১৯), পিতাঃ মৃত আবুল কালাম, ৪৭। মোঃ জসীম (২৩), পিতাঃ মোঃ শীপন, ৪৮। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৭), পিতাঃ মৃত ইউসুফ আলী, ৪৯। মোঃ রফিকুল হাসান (৩৯), পিতাঃ আব্দুল জলিল, ৫০। আশীষ গুহ (৫৫), পিতাঃ মনীন্দ্রলাল, ৫১। মোঃ রেজাউল মাওলা (৪২), পিতাঃ মোঃ ছানাউল্লাহ, ৫২। মোঃ মনির আহম্মদ চৌধুরী (৬৫), পিতাঃ মৃত মোসলেম মিয়া চৌধুরী, এবং ৫৩। মোঃ মঞ্জুর আলম (৫৮), পিতাঃ মৃত আব্দুল গফ্ফার। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের হেফাজতে থাকা বিভিন্ন রুম হতে এলোমেলো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় তাস ১৫৫ সেট, জুয়া খেলার চিপ ৪৩০টি (বিভিন্ন রংয়ের) এবং নগদ ৩,৬৯,৯৯০/- টাকা উদ্ধার সহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়।
রিক্রিয়েশন সেন্টার এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটির আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাসিনো ও জুয়া পরিচালনা হয়ে আসছিল। তারা বেট করতে প্লাষ্টিকের চিপ ব্যবহার করত। তাদের ম্যানেজারের কাছ থেকে অর্থপ্রদান বা ঋণের মাধ্যমে সেই চিপ কিনতে হতো। এই চিপের দাম ৫০০০ টাকা থেকে পরিবর্তিত হয়ে সর্বোচ্চ মূল্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতো। এলাকার যুবসমাজ এই অবৈধ অর্থের প্রলোভনে পড়ে এই ক্যাসিনো ও জুয়া খেলায় জড়িয়ে যেত এবং অনেকে সর্বশান্ত হতো।
গ্রেফতারকৃত আসামীগণ এবং উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে,“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব)প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে।র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।