ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে বেলতলী নামক এলাকায় গত ২২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মেঘনা গ্রুপের ডিপোতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ২৫/৩০ জনের
একদল ডাকাত কর্মচারী পরিচয় দিয়ে ডিপোতে প্রবেশ করে পাহারাদারদের হাত পা বেঁধে রাত্রি ৮.৩০ ঘটিকা হতে প্রায় ৭ ঘন্টা অবস্থান করে ভোর ৩.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত ডাকাতি সম্পন্ন করে একটি ট্রাকে করে, ৮,৩৮৮ লিটার সয়াবিন তেলের কার্টুন ও নগত ২,১১,০০০/ টাকা, আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র সহ সর্বমোট ২৯,২৬,২৪৬/ টাকার মালামার লুটে নেয় । এই ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়।মামলার (নং-৯২/১০০০ তারিখ ২৩/৯/২০২২ ইং ধারা-৩৯৫/৩৯৭পেনাল কোড) কোতোয়ালী মডেল থানার একটি চৌকস টিম মামলা তদন্তকালে লুটিতো আলামত একটি ট্রাক যাহার মূল্য অনুমান (তের লক্ষ) টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন তাহার মূল্য অনুমান (দুই হাজার) টাকা সহ ৪০০০ হাজার লিটার ফ্রেশ সোয়াবিন তেল যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার আলামত উদ্ধার করা হয়। ডাকাতি ঘটনার সহিত সম্পৃক্ত তদন্তে কোতোয়ালী থানার একটি চৌকস টিম মাঠে নামে। ডাকাতির লুন্ঠিত আলামত একটি ট্রাক গাজীপুর টঙ্গী এলাকা থেকে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ও আসামী মো: আবুল কালাম (৩০) কে শরীয়তপুর পালং থানা এলাকা থেকে চার হাজার লিটার ফ্রেশ সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়েছে। লুন্ঠিত মালামাল সহ প্রায় বিশ লাখ ত্রিশ হাজার টাকার আলামত উদ্ধার করা হয়। তন্মধ্যে আসামী মো: ইন্তাজ আলী (৩৫), মো: নজরুল ইসলাম (৩০), আবু সাঈদ সৈকত ওরফে শওকত (২৭), বাদল ওরফে আসলাম (২৮), ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ইতিপূর্বে আসামী মো: জামাল হোসেন (৪৬), মো: রাকিব (২৮), মো: ইউনুছ (৫৫), সহ সকল আসামীকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামীগন দিনের বেলাতে গাজীপুর পিকআপ ভ্যান চালায় । এদের পরিচয় হয় জেলাখানাতে । এদের বিরুদ্ধে ঢাকা ডিএমপি, গাজীপুর টঙ্গী, ময়মনসিংহ সহ বিভিন্ন জেলা ৭/৮ টি করে মামলা রয়েছে। মঙ্গলবার ১ নভেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার কার্য্যলয়ের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকগদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মাসুম ভূঁঞা সহ এ সময় পুলিশের অন্যান্য অফিসারগন উপস্হিত ছিলেন।