সংবাদদাতা, কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনের কেন্দ্রগুলোতে ছিল না ভোটারদের ভিড়। শান্তিপূর্ণভাবে ২ উপজেলায় মোট ১১৪টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়।
চিলমারী ও রৌমারী উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা হেরে গেছেন। জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী উপজেলায় মোট পাঁচজন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান আলী সরকার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৬২ ভোট।
অন্যদিকে রৌমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রার্থী নির্বাচন করেন। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ইমান আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ২১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৫৯২ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম ৫ হাজার ৪১৪ ভোট পেয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় চিলমারী উপজেলার বালাবাড়ীহাট বিএল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র ও সকাল ৯টায় নটারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, হাতেগোনা কয়েকজন ভোটার। বালাবাড়ীহাট বিএল উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের নৌকার প্রতীকের এজেন্ট কাকলী বেগম বলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেউ ভোটকেন্দ্রে আসছেন না। প্রতিনিধিরা ভোটারের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
থানাহাট ইউনিয়নের শিকারপুর থেকে ভোট দিতে এসেছেন তাহরিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আগে কাগজের ব্যালট পেপারে ভোট দিতাম, কাগজ ভাঁজ করা, বাক্সে ফেলা, সে অনুভূতি অন্য রকম। ইভিএমে ডিজিটাল ভোট দিতে মজা কম। ইভিএমে প্রতীক ছোট দেখা যায়, সবার বুঝতে সমস্যা হবে। ব্যালটে সিল মেরে ভোট দেওয়ার মজাই আলাদা ছিল।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করার জন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দুই উপজেলার কোনো কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। তবে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যবেক্ষক দল রয়েছে।
সুত্র, প্রথম আলো