মোঃ খালেদ মিয়া ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
দেশের সাধারণ জনগণের কাছাকাছি সরকারি সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। সরকারি সিদ্ধান্ত ও বরাদ্দের সঠিক বাস্তবায়নসহ জনগণের প্রকৃত সেবায় নিয়োজিত হওটাই উপজেলা কর্মকর্তাদের কাজ। বর্তমান সরকারের আমলে একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনেকগুলা দায়ীত্ব পালন করতে হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় নিজের অফিস সামালের পাশাপাশি সৎতার সহিত ছাতক পৌরসভাও সামাল দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম। অফিস সময়ের পরেও শান্তশিষ্ট মনভাব নিয়ে উপজেলাবাসিকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে তার দক্ষতায় হাটবাজার ইজারা সহ নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব দ্বিগুণ বেড়েছে শিল্পনগরী ছাতক উপজেলায়। মোঃ তরিকুল ইসলাম ছাতকে যোগদানের মাত্র চার মাসের মধ্যেই কর্মগুণে জয় করেছেন সাধারন মানুষের মন। মানবিক ও সৎ উপজেলা কর্মকর্তা হিসেবেও সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
তার কাছে আসা সকল নাগরিকদের তিনি হাসি মুখে সেবা দেওয়াসহ দালালমুক্ত রেখেছেন উপজেলা চত্বর। যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদ ও পৌর প্রশাসকের কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। কাবিটা,কাবিখা,টিআর,এডিপিসহ সকল বরাদ্দের তালিকা ও তথ্য ওয়েবসাইট প্রকাশ করায় সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষও তদারকি করতে পারছেন। ছাতক উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালস ভাবে কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি উপজেলায় খেলারমাঠ,পাবলিক টয়লেট,যাত্রী চাউনি,মিলনায়তন ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মানের উদ্দোগ গ্রহণ করেছেন মোঃ তরিকুল ইসলাম। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা। ৩৫ তম বিসিএসের এই কর্মকর্তা ২০২৪ সালের ১১নভেম্বর ছাতকে যোগদান করেন। এরপর থেকে উপজেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, হাট বাজার ইজারা মূল্য দ্বিগুন করে প্রায় ৪ কোটি টাকার রাজস্ব বাড়িয়েছেন।
সরকারি খাস জমি উদ্ধার, শিক্ষার মান বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন, অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্তকরণ, সাধারণ মানুষের সরকারি সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি উপজেলায় একজন মানবিক কর্মকর্তা হিসেবে সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এছাড়া উপজেলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতেও কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি কাজে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে উপস্থিতির পাশাপাশি তিনি প্রায়ই বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কলেজ পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সাথে আলাপ-আলোচনাক্রমে শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা যাতে আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইংরেজি শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি পৌর সভার উদ্দ্যোগে মেধা বৃক্তি পরীক্ষা চালু করেছেন।
উপজেলার ১৩ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় সাধারন মানুষকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা সহ শিক্ষা প্রতিষ্টান,মসজিদ মাদ্রাসায়ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের লক্ষ্যে গভীর নলকুপ স্থাপনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন মোঃ তরিকুল ইসলান।
মাহে রমজান মাসকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করতে না পারে এজন্য তিনি
গত শুত্রুবার সকাল থেকে নিয়মিত জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাজার নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে যাচ্ছেন।
ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি বলেন আমাদের উপজেলার ইতিহাসে এমন জনবান্ধব ইউএনও আমরা আগে কখনো দেখিনি। কিছু দুষ্কৃতকারী ব্যতিত তিনি অল্প সময়ে উপজেলাবাসির ভালোবাসা পেয়েছেন।
গীতিকার নগরী করিম বলেন আমাদের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একজন ব্যতিক্রমী জনবান্ধব কর্মকর্তা। প্রতিদিন হাসিমুখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। এমন জনবান্ধব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পেয়ে সত্যিই আমরা খুবই আনন্দিত। কালারুকা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন বলেন, বর্তমান ইউএনও প্রচন্ড কর্মস্পৃহা সম্পন্ন একজন চমৎকার মানুষ। তাঁর নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় আমরা ইউনিয়ন পরিষদে সুন্দরভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মফস্বল
সভাপতি মুশাহিদ আলী বলেন, সরকারের মাঠ প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে ছাতক উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা অসাধারণ একজন মানুষ। ছাতক অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদ মিয়া বলেন তিনি ১০০% সতৎ ও করমট একজন অফিসার,তার কাছে কোনো অনিয়মের ছাড় নেই। এধরনের কর্মকর্তা দেশের সকল উপজেলায় হওয়া উচিত। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করার। জেনে বুঝে কখনো আমার দায়িত্বে অবহেলা করিনা। তিনি আরও বলেন, এই উপজেলার মানুষও খুবই আন্তরিক। যেকোনো প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের সহযোগিতা পাওয়া যায়। যতদিন ছাতক উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রাসহ উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাব। এতে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতাও চান তিনি।