সুনামগঞ্জ জেলা ব্যুরো প্রধানঃছাতকে অর্ধশত বছরের একটি পুরনো সীমানা প্রাচীর নিয়ে দু’পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিপক্ষরা ওই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা প্রসস্থ করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ নিয়ে ছাতক পৌর শহরের চরেরবন্দ এলাকার মৃত হাজী আবু সাইদ মাস্টারের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আফরোজ মিয়ার সাথে এলাকার কতিপয় লোকজনের বিরাজমান বিরোধ দাঙ্গা-হাঙ্গামায় রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, চরেরবন্দ এলাকায় আফরোজ মিয়ার রয়েছে একটি ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন। ওই ভবনের পাশে রয়েছে একটি মাজার, মক্তব ও বিপরীত দিকে রয়েছে চরেরবন্দ জামে মসজিদ। বাড়ি ও মসজিদের মাঝখান রয়েছে একটি বাড়িয়ান রাস্তা। এক সময় এখানে কোন রাস্তা ছিল না বলে স্থানীয়রা জানান, ওই জায়গাটি ছিল মুলত সরকারী একটি হালট। প্রায় ৪৪ বছর আগে আফরোজ মিয়ার পিতা হাজী আবু সাঈদ মাস্টার তার বাড়ি সরকারী হালট থেকে আলাদা করার জন্য একটি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে প্রাচীর ঘেষা ৩ তলা বিশিষ্ট ওই ভবনটি নির্মাণ করেন তিনি। ভবিষ্যতে বিরোধ সৃষ্টি না হওয়ার লক্ষ্যে তৎকালীন সময়ে গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ভুমি চিহ্নিত করে দিয়েছেন বলে দাবী করছেন আফরোজ মিয়া। সীমানা প্রাচীর ও রাস্তা বরাবর এখানে আরো বেশ কয়েকটি পাকা ভবনও গড়ে উঠেছে। ওই হালটে পৌরসভার অর্থায়নে নির্মাণ করা হয় ড্রেন সহ পাকা রাস্তা। ড্রেন ও রাস্তা হওয়ায় এলাকার বেশ কয়েকটি পরিবারের যাতায়াত সুবিধা বৃদ্ধি পায়। সম্প্রতি ৪৪ বছরের পুরনো ওই দেয়ালটি ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্থ করার দাবী করেন এলাকার কতিপয় লোক। এলাকার বাসিন্দা লায়েক মিয়া জানান, দেয়াটি অনেক পুরনো। যদি দেয়ালটি সরকারী ভুমিতে পড়ে থাকে। তবে প্রয়োজনে সরকারই তার ভুমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেব। আরেক বাসিন্দা আকিল আলী জানান, গ্রামের কিছু লোক রাস্তা প্রশস্থ করনের জন্য দেয়াল ভাঙ্গার দাবী নিয়ে সম্প্রতি আফরোজ মিয়ার বাড়িতে গিয়েছিল। প্রবাসে থাকা আফরোজ মিয়া সাথে তারা মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি দেয়ালের ভিতরে কোন জায়গা নেই বলে জানান। এরপরও দেশে-বিদেশে থাকা তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে তিনি তাদের জানাবেন বলেছেন। এরই মধ্যে গ্রামের কিছু লোক ইউএনও বরাবরে একটি অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রবাসী আফরোজ মিয়ার স্বজন জাবেদ মিয়া জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চালাচ্ছে মিথ্যা অপপ্রচার। যোগাযোগ না করেই মনগড়া ভাবে তার বক্তব্য যুক্ত করা হয়েছে। স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম জানান, রাস্তা প্রশস্থকরনের জন্য দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়টি এসেছে। দেয়ালটি সরকারী ভুমিতে পড়লে বিষয়টি প্রশাসন নির্ধারন করবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন।