প্রতিনিধি সিলেটঃ ছাতকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঘর থেকে ডেকে’ নিয়ে এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষক ছালেক মিয়া (২৫) কে নারী নিযাতনে দমন আইনের মামলার গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরির বাবা আতাউর রহমান ধর্ষক ছালেক মিয়া কে (২৫) আসামি করে গত বুধবার বিকালে ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
গত বুধবার গভীর রাতে এসআই মাসুদ রানার নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপির ফুরকানচক গ্রাম থেকে ধর্ষক ছালেক মিয়া (২৫) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন।
সে উপজেলার উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও ইউপির ফুরকানচক গ্রামের সমুজ আলীর ছেলে।
গত ২৮ ফেরুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার উপজেলার দক্ষিন খুরমা ইউপির ভুইগাঁও গ্রামের আতাউর রহমানের বড় কন্যাকে তার ঘর থেকে সন্ধ্যায় সময় ডেকে’গ্রামের সুন্দর আলীর পতিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
জানায়ায়,কিশোরী মনিরঞ্জাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। ধর্ষক ওই কিশোরীকে ২বছর পুর্বে সে প্রেম ও কু প্রস্তাব দিলে ও কিশোরীর তার প্রস্তাবে রাজি হয়নি। কিশোরী (১৭) বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে রাস্তা মধ্যে বাধাঁ দিতো এবং নানা ধরনেরপ্রস্তাব দিয়েছে ধর্ষক।
এ ঘটনার ধর্ষকের পরিবারে নিকট কিশোরীর বাবা একাধিকবার বিচার দেয়। বিচার দিয়ে সুবিচার না পেয়ে কিশোরীর লেখাপড়া বন্ধ করা হয় তিন মাস আগে।
কিশোরীর সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে দুজনের ঘন্টার পর ঘন্টা আলাপ আলোচনা ও কথাবাতার মধ্যেই কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল ধর্ষক। তাদের দু`জনের মধ্যে মোবাইলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভাবের আদান-প্রদান হলে সর্বশেষ গত ২৮ ফেরুয়ারি তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে নিয়ে গ্রামের সুন্দর আলীর পতিত বাড়িতে নেন। সেখানে বিয়ে না করে জোর করে কিশোরী কে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনাটি গোটা এলাকায় জানাজানি হলে কিশোরী তার বাবা মাকে এ ঘটনার অবগত করেন। পরে তার বাবা গ্রামসহ এলাকার আশে পাশের লোকজনকে অবগত করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এব্যাপারে থানার অফিসার ইনচাজ মাহবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত ধর্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।