ছাতকের কালারুকা ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন,অনিয়মের অভিযোগ উটেছে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে।
জানা,যায শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিব, মহাপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, উপপরিচালক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, চেয়ারম্যান দুনীতি দমন কমিশন সেগুন বাগিচা ঢাকা, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক, সুনামগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা, গোয়েন্দা সংস্থা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে মাদ্রাসার অভিভাবক সদস্য সুন্দর আলী, হাবিবুর রহমান ও শেখ ফরিদ আহমদ বাদী হয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তমুলক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাদ্রাসা বোর্ড। তদন্তের দায়ীত্বে রয়েছেন ছাতক উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার সিমা রানি।তিনি রবিবার (২৮আগষ্ট)সরেজমিনে সাক্ষ প্রমান সংগ্রহ করেছেন।
সুত্র জানায় গত ৫ জুন দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার কক্ষে বসে নুরুল্লা পুর দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। এর পর থেকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম তার নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বারবার পকেট কমিটি গঠন করে অনিয়ম ও দুর্নীতির করে আসছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
তার কাগজপত্রাদি পরীক্ষা করলে ও নানা দুনীতির অনিয়মের প্রমাণ রেরিয়ে আসবে বলে গ্রামবাসী জানান। এছাড়া ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন প্রক্রিয়া মাদ্রাসায় না করে,নাদ্রাসা সুপার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা পুলিন চন্দ্র রায় নিয়মনীতি বহির্ভূত কাজ করেছেন।
ক্ষমতা বলে কমিটি সভাপতি নির্বাচিত করার এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ অভিভাবক সদস্য সহ এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, সুপার স্বজনপ্রীতি করে একটি পকেট কমিটি গঠন করে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকার শান্তি সৃঙ্খলা বজায় রাখার সার্থে এ ম্যানেজিং কমিটি বাতিল করে পূনরায় নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করার দাবী এলাকাবাসির।
বিষয়ে অভিযোগকারীরা জানান,,,,,, একজন প্রতিবন্ধির ভোট শিক্ষা অফিসার নিজেই দিয়েছেন।এবং অদৃষ্য কারনে তিনজন শিক্ষক-ভোটে অংশ্বগ্রহন করেননি।
পাশাপাশি আগেই সকল কাগজে সাক্ষর নিয়েছেন শিক্ষা অফিসার বিদায় তিনি এলাকাবাসির মতামতের বিরুদ্ধে মনগড়া কমিটি করেছেন।
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন সকলের সম্মতিক্রমে কমিটি হয়েছে তবে বিষয়টি তদন্তাদিন থাকায় তিনি এখন মন্তব্য করতে রাজি নয়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায় বলেন,সকলের সম্মতিক্রমে বিধি মোতাবেক কমিটি করা হয়েছে,এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান সকলের সম্মতি থাকলে সভাপতি পদের নির্বাচন তার অফিসে করা যায় এবং প্রতিবন্ধী সদস্যের সম্মতিক্রমে তার পচন্দের পার্থীকে ভোট দিতে তিনি সহযোগিতা করেছেন।
এব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছাতক উপজেলা সিনিয়র মৎস অফিসার সিমা রানি বলেন।মাদ্রাসা বোর্ডের নির্দেশে বিষয়টি তদন্তাধীন।তদন্তকাজ শেষ না করে কিছু বলা যাচ্ছেনা।