[ সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
এ আর ছায়েম ]
সুনামগঞ্জের ছাতকে যৌতুক মামলায় ২২ দিন কারাভোগের পর জামিন পেয়েছেন দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল। তবে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই বাদী মোছাঃ সাহানা জাহান পলির (সাহানা বেগম) ওপর মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলা তুলে নিতে চাপ ও নিখোঁজ সন্তান
বাদী সাহানা বেগম অভিযোগ করেন, তার প্রাক্তন স্বামী দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল তাকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করছেন। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) তাদের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তাহসিনবক্স সিলেটের বাসা থেকে স্কুলে গেলেও ছুটির পর আর বাসায় ফেরেনি।
এ ঘটনায় দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় ছেলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি পাওয়ার পর এয়ারপোর্ট থানার ওসি বাদী সাহানা বেগমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বাদীর অভিযোগ: ‘এটা সাজানো নাটক’
সাহানা বেগম জানান, “আমার সঙ্গে তার ডিভোর্স হয়ে গেছে। তিনি এখন আমার স্বামী নন। আমি তার সঙ্গে আর সংসার করতে চাই না।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এটা তার সাজানো নাটক। সে নিজেই ছেলেকে লুকিয়ে রেখে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, যেন আমি মামলা তুলে নিই। আমি আমার ও আমার সন্তানের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
দেলোয়ার মাহমুদ জুয়েল বলেন
“আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি দিশেহারা। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছি। এখনো পাইনি। সবাই দোয়া ও সহযোগিতা করুন, যেন আমার সন্তানকে দ্রুত ফিরে পাই।” তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পুলিশের বক্তব্য
এয়ারপোর্ট থানার ওসি জানান,
“স্বামীর নিখোঁজ সন্তানের বিষয়ে করা জিডির পরিপ্রেক্ষিতে তার স্ত্রীর (বাদীর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তদন্তের মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।”
আশঙ্কা ও প্রশাসনের প্রতি আবেদন
বাদী সাহানা বেগম আশঙ্কা করছেন, তার সন্তানকে ব্যবহার করে তাকে হয়রানি করা হতে পারে। তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার ও তার সন্তানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি
স্থানীয়দের মতে, মামলাটি যেন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।