মাসুম মৃধা স্টাফ রিপোর্টারঃ
ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দামের সহযোগিতায় বকেয়া দুই মাসের বেতন পান গার্মেন্টস শ্রমিকরা । বর্তমানে বহু গার্মেন্টসের বেতন না দিয়ে মালিকরা ফ্যাক্টরি বন্ধ করে পালিয়ে যান এই অবস্থাতে রাজধানীর কাফরুলে ২ মাসের বেতন না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মালিকপক্ষ থেকে ১০ জন শ্রমিকের বেতন আদায় করে ছাড়েন ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম।
গত ১৫ অক্টোবর কাফরুল কচুক্ষেতে (কোয়ালিটি পয়েন্ট) এই গার্মেন্টসে ২০ জন শ্রমিকের বিগত ২ মাসের বকেয়া বেতন না দিয়ে মালিক পক্ষ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষনা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালায়। তখন কিছু পরিচিত শ্রমিক ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাঈম রেজা সাদ্দাম কে খবর দিলে সেখানে তিনি উপস্থিত হন এবং তার ছোট ভাইদের নিয়ে গিয়ে চেয়ারম্যান ও দুইজন এমডি কে আটকান। তারা শ্রমিকদের বেতনের একটা লিস্ট করে মালিক পক্ষ কে চাপ সৃষ্টি করে স্টেম্প করি।
মালিকপক্ষের ২দিন পরেই টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তারা পরবর্তিতে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম কে বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতা কে দিয়ে ফোন দেওয়ায়। কিন্তু তিনি শ্রমিকদের কষ্টের কথা ভেবে কারো কথাতেই কান না দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। পরবর্তিতে সাদ্দাম কে তারা ঘুষ দেওয়ারও অফার জানায়। কিন্তু তিনি বেতনের পক্ষেই কঠোর অবস্থা নিলে ১০ দিন পরে হলেও তিনি তাদের ১০ জনের বেতনের ব্যবস্তা করে দিতে পেরেছেন। এবং বাকিদের বেতন না দেওয়া পর্যন্ত তারা ফেক্টরি থেকে কোন মাল নামাতে পারবেনা সেই ওয়াদা ও ব্যবস্থাও করে রেখেছেনএতে করে অসহায় গার্মেন্টস শ্রমিকরাও অনেক খুশি। রাকিব নামের একজন শ্রমিক বলেন, আমরা বাসা ভাড়া দিতে পারিনাই ২ মাস। বাড়িওয়ালা বাসা থেকে বের করে দিছে। মোবাইল বিক্রি করে খাবার খরচ চালাইছি।
সাদ্দাম ভাই আমাদের পাশে না থাকলে আমরা বেতনই পেতাম না। শ্রমিক পান বিবি বলেন, আমাদের পরিবারে চাল শেষ। বাচ্চাদের নিয়ে অনেক সমস্যায় আছি। ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ভাইয়ের সহযোগিতায় আমরা বেতন পেয়েছি সাদ্দাম ভাই সব সময় অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ান। তাদের সহযোগিতা করেন । আজ সাদ্দাম ভাইয়ের কারণে আমরা বকেয়া দুই মাসে বেতন পেয়েছি । সাদ্দাম ভাই সহযোগিতা না করলে আমরা কখনই বেতন পেতাম না।