ভোলার লালমোহন উপজেলার ৩নং ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড, করিমগঞ্জ মৌজার সফিউল আলমের বাড়ীর, (পূর্ব নামঃ আব্দুর রশিদের বাড়ী) পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জমিজমা নিয়ে বড় ভাই সফিউল আলমের সাথে অন্যান্য ভাই বোনদের দীর্ঘ দিনের বিরোধ খুনে পরিনত হয়েছে।

গত ৩ নভেম্বর ২০২২ ইং বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক ৯:০০ ঘটিকার দিকে পিয়ারা ও ফাতেমা নামে দুই বোন তার বাবার বসত বাড়ীতে পৈত্রিক সম্পত্তি দেখতে গেলে সফিউল আলম ও তার ছেলে-মেয়ে, জামাতা এবং স্থানীয় রং মিস্ত্রি ফারুকসহ কিছু গ্যাং একত্রিত হয়ে পিয়ারা ও ফাতেমাকে উদ্দেশ্য করে শুরুতে তাদের চোঁখে মুখে লাল মরিচের গুড়া ছিটিয়ে এলোপাতারী দা, রামদা, রড দিয়ে পিটিয়ে ফাতেমার হাত ভেঙে দেয় এবং সম্পুর্ন শরীরে প্রচুর পরিমাণে জখম করে ও ফাতেমার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয়।

সফি,রহিমা,নয়ন,মেছবাহ,শাকিল,মুক্তা মিলে তাদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় পরে ফাতেমা ও তার বোন পিয়ারার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে।

প্রথমে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফাতেমার অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন ।

বর্তমানে তারা ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

ভুক্তভোগী পিয়ারা বেগম অভিযোগ করে জানান, আমার বাবা মা দীর্ঘদিন আগে মৃত্যু বরণ করেন, আমরা ৩ ভাই ৩ বোন শফি ভাই বোনদের মধ্যে সবার বড়।

আমাদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি সফি আমাদেরকে ভাগবাটোয়ারা করে দিচ্ছেনা এবং আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেয়না ।

আমরা জমির ভাগ চাইতে গেলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকিসহ মারপিট করে।

গত ৩ নভেম্বর সকাল ৯ টার সময় আমরা বড় ভাই শফির বাড়িতে আসলে কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে শফি ও তার স্ত্রী সন্তানরা দেশীয় তৈরী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে।

এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পিয়ারা আরো জানান সফিউল আলম স্থানীয় কিছু কু-চক্রি মহলের ছত্রছায়ায় ও তাদের ইন্ধনে ভাই-বোনদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিজের নামে জাল দলিল করে (জাল দলিল নং ৭২১৪, সাল ১৯৮২) ভোগ দখল করার পায়তারা করতেছে এবং অন্যান্য ভাই-বোনদের দখল থেকে বিতারিত ও পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টন না দেওয়ার জন্য স্থানীয় কিছু গ্যাং-কে হাত করায় মূলত আজকের এ খুন সংঘটিত হয়। তিনি বলেন এ সকল গ্যাং ও স্থানীয় কু-চক্রি মহলের হোতা জারা রয়েছেন, তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অপরদিকে অভিযুক্ত শফি দুবাই এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন,বোনেরা আমার ছোট কিন্তু তারা আরো আমাকে অপমান অপদস্ত করে। গালিগালাজ করেছে এবং আমার গাছ গাছড়া কেটে ফেলেছে।

এ ঘটনায় লালমোহন থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং দুজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে নিশ্চিত করেছে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা