কামরুজ্জামান, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলায় দৃষ্টিনন্দন একটি নামাজ ঘর নির্মিত হচ্ছে। উপজেলার ১০নং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে চত্বরে অবস্থিত নামাজ ঘরে একযোগে ত্রিশ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন।নতুন এ নামাজ ঘর টি বিশেষ এক স্থাপনা হতে যাচ্ছে।
১০নং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্র জানাযায়, ২০২৩সালের শুরুর দিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে পথচারী সহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লির জন্য একটি নামাজ ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা শুরু করেন অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান(জামান)।পরর্বতীতে সকল ইউপি সদস্য,গ্রাম পুলিশ, ইউপি সচিবকে নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সৌদি আরবের দাতা সংস্থা ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গত বছরের আগষ্ট মাসে নামাজ ঘরটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ৮০ ভাগ কাজ শেষে দুই মাসের মধ্যে নামাজ আদায়ের জন্য ঘরটি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।জানাযায়, সৌদি আরবের দাতা সংস্থা ও ইউনিয়ন পরিষদের তহবিল থেকে নামাজ ঘরটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯লাখ টাকা।
ইউপি সচিব মামুনুর রশীদ জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান(জামান) এর উদ্যোগ ও ইউনিয়ন পরিষদের সিদ্ধান্তে একটি আধুনিক মানের দৃষ্টিনন্দন নামাজ ঘর নির্মিত হচ্ছে।
বিশিষ্ট সমাজসেবক মাজেদুল ইসলাম, আব্দুল ছাত্তার জানান, কম খরচে উন্নত মানের একটি নামাজ ঘর তৈরি হচ্ছে। অত্র ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অভিজ্ঞতার আলোকে পরিষদ চত্বরে নামাজ ঘর নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। তিনি মনে করেন, নামাজ ঘর তো অনেক হয়- কিন্তু আধুনিক মানের দৃষ্টিনন্দন নামাজ ঘর নেই জলঢাকায়। উপজেলায় নামাজ ঘরটি দৃষ্টি নন্দন নামাজ ঘর হিসেবে নির্মাণ করা হচ্ছে।
নামাজ ঘর নির্মাণের উদ্যোক্তা ও ১০নং শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান(জামান) জানান, নামাজ ঘরটিতে একসঙ্গে প্রায় ত্রিশ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। উপজেলার মধ্যে নামাজ ঘরটি ব্যতিক্রম একটি নামাজ ঘর হতে যাচ্ছে। রেহেল আকৃতির এই নামাজ ঘরটিতে শুধু নামাজ আদায়ের জন্যই নয় বিশেষ স্থাপনা হিসেবে জায়গা করে নিবে মানুষের মনে। দুরদুরান্ত দেখতে আসবেন নামাজ ঘরটি।সকল ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নাামাজ আদায় করতে পারবেন