ঘটনা সুত্রে যানা যায় ২০১৯ সালে দানেশ বেপারী ও সুলতান বেপারীর নিজ নামে বিআরএস ২৬৬/১ নং খতিয়ানে ৬৯৬ ও ৬৯২ নং দাগে ১২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন মোঃ আরিফ হোসেন ও মোঃ মিলন চৌকিদার উক্ত জমিটি প্রথম অবস্থায় পুকুর থাকলে তারা ভরাট করিয়া চারিদিকে বাউন্ডারি ওয়াল ও সিমানা নির্ধারণ করতে গেলে প্রথমে সুলতান বেপারী ও তার ছেলেরা বিভিন্ন অজুহাতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করে পরে জাজিরা থানার ওসি সাহেবের হস্তক্ষেপে তারা পিছু হটে। দীর্ঘদিন তারা ভোগ দখল করে আসছে গত একবছর আগে জমিটি তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিক্রি করে দেওয়ার তখন আবার ভুমি দস্যু মোশাররফ বেপারী ও সুলতান বেপারী ও তার ছেলে সুমন বেপারী বিভিন্ন ভাবে জমিটি যাতে না বিক্রি করতে পারে তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে থাকে এলাকায়, সর্ব শেষ জমির পার্টনার মোঃ মিলন মিয়া পুরো জমিটি ক্রয় করার জন্য সম্মত হয় এবং মোঃ আরিফ হোসেন কে ৫ লাখ টাকা বায়না প্রদান করেন এবং আরিফ হোসেন সমস্ত জমির দলিল ও কাগজ এবং জমি বুঝিয়ে দেয় এবং মোঃ মিলন মিয়া জমির উপর সাইনবোর্ড স্থাপন করেন এবং গাছ পালা রোপন করেন। কিন্তু মোশাররফ বেপারী এলাকার সন্ত্রাসীদের নিয়ে সাইনবোর্ড ভাংচুর ও গাছ পালা কেটে নষ্ট করে এবং জমির মালিক মোঃ আরিফ হোসেন কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং জমি তার বলে দাবি করেন এই জমি যেন বিক্রি না করে সে জন্য তাকে হুমকি প্রদান করেন, এবং এই জমির মুল মালিক দানেশ বেপারী কে কি ভাবে মারধর করছে আগে সে সব বলে ভিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেন। এবং দানেশ বেপারীর কি পরিনতি করেছে সেটা যেন মনে রাখে এই বলে শাসান তাকে, ঘটনার আরো গভীরে গেলে জানা যায় মোশাররফ বেপারী ওই এলাকার জন্য একটি আতংক সে অসহায় মানুষের জমি দখল, চাঁদাবাজি, মানব পাচার অনেক ধরনের অপরাধের সাথে যুক্ত থাকলেও কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না, ওই এলাকার কাউন্সিলর সাইফুল কাজী জানান কিছু দিন আগে একটি নতুন সড়ক নির্মান করাকে কেন্দ্রকরে তার কাছে কৌসলে চাঁদা দাবী করেছিলো ওই মোশাররফ বেপারী। আরো অনুসন্ধান করলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ওই এলাকার একজন অসহায় মানুষ দানেশ বেপারীর প্রায় ৬৯২ নং দাগে ১২ শতাংশ জমি দখল করে নিয়ে যায়, এবং তার পৈতৃক সম্পত্তি একটি পুকুর প্রায় দশ বছর দখল করে রেখেছে এবং ৬৭২ নং দাগে দানেশ বেপারীর কেনা জমি হইতে ২ শতাংশ জমি জোর করে দখল করে নিয়ে অন্য একজনের নিকট রাস্তার জন্য ৩ লাখ টাকা খেয়ে দিয়ে দেয় এই ধরনের জুলুমে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ বলে জানিয়েছেন কয়েকজন। এই ব্যাপারে দানেশ বেপারীর বোনের সাথে কথা বললে তিনি জানায় মোশাররফ আমার ভাইকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে দিয়েছে আমার ভাইকে চার পাঁচ বার মারধর করছে এই জমি নিয়ে কথা বলার কারনে সর্ব শেষ চার লেন রাস্তার জন্য ভুমি অধিগ্রহণ করতে সরকারি লোক আসলে আমার ভাই দানেশ বেপারী জমির কাগজ পত্র নিয়ে গেলে মোশাররফ বেপারী আমার ভাইকে ওখান থেকে সরে যেতে বলে তারপর আমার ভাই সরকারি অফিসার কে কাগজ পত্র দেখালে তারা দানেশ বেপারীর জমি বলে জানায় এবং দানেশ বেপারীর নাম লিখে নিয়ে যায় এতে মোশাররফ বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে তাতেই আমার ভাই অসুস্থ হয়ে ভুগতে ভুগতে গত ২৫-০২-২০২৩ সালে মারা যায়। সর্ব শেষ মোঃ মিলন মিয়া কে ওই জমি কিনতে হলে ৬ লাখ টাকা তাঁদের চাঁদা দিতে হবে যদি চাঁদা না দেই তাহলে ওই জমিতে বা বাড়ি ঘর নির্মান করলে শান্তিতে বসবাস করার কোন সুযোগ নেই বলে হুমকি প্রদান করেন মোশাররফ বেপারীর সন্ত্রাসী বাহিনী, এই ব্যাপারে মোঃ মিলন মিয়া জাজিরা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলার আবেদন করে এজাহার দায়ের করেন এবং জাজিরা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই জসিমউদদীন জানান তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।