শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামে অবস্থিত হাজী আব্দুল গনিমাল জামে মসজিদ কমিটি’র জামাতের সাথে টানা ৪০ দিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেই উপহার হিসেবে প্রত্যেককে একটি করে সাইকেল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, হাজী আব্দুল গনিমাল জামে মসজিদের পক্ষ থেকে মসজিদটির প্রতিষ্ঠাতা ও মোতাওয়াল্লী জালাল উদ্দিন মাস্টার ও মসজিদ কমিটির সভাপতি সাংবাদিক নেতা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক যৌথভাবে এই ঘোষণা দেন।
(৩১’শে মে ২০২৪) শুক্রবার, হাজী আব্দুল গনিমাল জামে মসজিদ পবিত্র জুমা’র নামাজের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। হাজী আব্দুল গনিমাল জামে মসজিদ উদ্বোধনের সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তারা এসব কথা বলেন। পাঁচ শতাধিক মুসল্লিদের অংশগ্রহণে তিন তলা মসজিদের পুরোটা কানায় কানায় ভরে উঠে। দৃষ্টি নন্দন মসজিদটির কারুকার্য দেখে মুগ্ধ হন আগত মুসল্লিরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মনিপুর মোস্তাফিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুর রহমান, মসজিদের উপদেষ্টা মোঃ রজব আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাদল মিয়া, কোষাধ্যক্ষ লাভলু মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মজনু, সহ- সভাপতি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ মালেক সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মালেক
সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আলফাজ উদ্দিন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ লতিফ, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ আলী, মোঃ কাজল আকন্দ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ সোহেল, মোঃ শুক্কুর আলী, মোঃ সোহাগ, মোঃ মামুন, মোঃ চাঁন মিয়া, মোঃ বিল্লাল, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ রফিক, মোঃ আলম ব্যাপারী, মোঃ মজিবর রহমান, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ বকুল হোসেন, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ রুবেল, মোঃ সাত্তার, মোঃ মিজান সহ আরো অনেকে।
প্রতিষ্ঠাতা ও মোতাওয়াল্লী জালাল উদ্দিন মাস্টার তার বক্তব্যে বলেন, মহান আল্লাহ্ তালাকে রাজি খুশি করার জন্য সকলের সহযোগীতায় এই মসজিদ নির্মাণ করেছি। মসজিদের উন্নয়নে যারা অবদান রেখেছেন যারা সাথে থেকে কাজ করেছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। সেই সাথে পাশেই আরেকটি মাদ্রাসা নির্মাণের কথাও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে হাজী গনিমাল জামে মসজিদের সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক নেতা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক মসজিদ নির্মাণের সাথে জড়িতদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলেও এর মূল কাজ এখনো বাকি। মসজিদ আবাদ করতে হবে মুসল্লিদের মসজিদ মুখী হতে হবে তবেই এর পরিপূর্ণতা। ইমামদের গুরুত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইমামদের ইমাম হিসেবেই সম্মান করতে হবে। ইমাম শব্দের অর্থ নেতা তাই সম্মানিত ইমামরা মিম্বারে যেমন নেতা বাইরেও তাঁদের নেতৃত্ব মেনে নিলেই জীবন সুন্দর হবে। তিনি মসজিদের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। সেই সাথে দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই মসজিদ ও মাদ্রাসা যাতে মহান আল্লাহ তালা কবুল করে নেয় সে জন্য সকলের দোয়া চেয়েছেন।
পরে সমাজ, দেশ ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহের শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন মসজিদ কমিটি।