মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষনা
শাহজাদপুর উপজেল সমিতি ঢাকা’র বার্ষিক ইফতার ও দোয়া মাহফিল দূর্গাপুর উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ষ্ঠিত সাবেক স্ত্রীর করা নাটকীয় মামলায় জামিন পেলেন শিক্ষক সাগর শিবগঞ্জ উপজেলার বিএনপির আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত।      পল্লবীতে মহিলা দলের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ তুরাগ থানার চন্ডালভোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের উন্নয়নে আমরা কাজ করতে চাই : জামাল আন্তর্জাতিক সাংবাদিক আইনি প্রতিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন পল্লবীতে যুবদল নেতা সেলিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা গলাচিপায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান পরিচালনা এবং জরিমানা

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে সাতক্ষীরায় বিক্ষোভ

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৩২ বার পঠিত

 

আজহারুল ইসলাম সাদী, স্টাফ রিপোর্টারঃ   বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানিয়ে সাতক্ষীরায় স্মরণকালের বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত ইসলামী।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকাল চারটায় সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন আসিফ চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে যেয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলটির নের্তৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। একই সময়ে শহরের চারটি প্রবেশ পথ দিয়ে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে জামায়াত। সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুলের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ পরবর্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও সাতক্ষীরা জামায়াতের সাবেক আমীর মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমীর শেখ নূরুল হুদা, মাহমুদুল হক, সহকারী সেক্রেটারী মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক ওবায় দুল্লাহ, প্রভাষক ওমর ফারুক, মাওলানা ওসমান গণি, শহর শিবির সভাপতি আল মামুন, জেলা শিবির সভাপতি ইমামুল হোসেন, শহর আমীর জাহিদুল ইসলাম, সদর আমীর মাওলানা মোশারফ হোসেন, কলারোয়া আমীর মাওলানা কামরুজ্জামান, তালা আমীর মাওলানা মফিদুল্লাহ, আশাশুনি আমীর তারিকুজ্জামান তুশার, দেবহাটা আমীর মাওলানা. অলিউল ইসলাম, কালিগঞ্জ আমীর মাওলানা. আব্দুল ওহাব সিদ্দিকী, শ্যামনগর আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, প্রমুখ। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান বক্তরা। সমাবেশে লক্ষাধীক জামায়াত শিবির কমীর্রা অংশ নেয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের আজ ৬ মাস ১০ দিন অতিবাহিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের আমলে এই প্রথম আজ জামায়াতে ইসলামী রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর দেশবাসী আশা করেছিল তারা সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন থেকে রেহাই পাবে। যারা মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক ছিলেন তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর ফাঁসির আসামীসহ অনেকেই মুক্তি পেলেও জামায়াতের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি পাননি। তার মুক্তি না হওয়ায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতবাক।

তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করার পর নিজ বাসায় অবস্থানকালে পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।

কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন যে, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবাস্তব ও হাস্যকর। আরেকজন সাক্ষী নিজেকে আজহারুল ইসলামের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব, আজহারুল ইসলামকে ওই সাক্ষী তাঁর ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। এ ধরনের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তিনি আরো বলেন, আজহারুল ইসলাম ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখলেও একজন বিচারপতি এ রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। আজহারুল ইসলাম সেখানেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন।

সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রম সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। অবিলম্বে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই পত্রিকার সকল সংবাদ, ছবি ও ভিডিও স্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২১ দৈনিক মাতৃজগত    
Developed By Bangla Webs
banglawebs999991