ঝিনাইদহে সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নে বাবু হোসেন (২৭)নামে এক যুবক আত্নহত্যা করেছে বলে জানা যায়। নিহত বাবু হোসেন নারকেল বাড়িয়া গ্রামের মৃত নূরুল আমিনের ছেলে।অনেক ছোট বেলায় বাবু হোসেনের মা মারা যায়, ২০০৭ সালে তার বাবাও পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়, পিতা মাতা হারা সন্তানকে লালন পালনের দায়িত্ব নেয় তার মামা আব্দুল মান্নান।মামার বাড়িতেই বাবু হোসেন ও তার বড় ভাই হাসানুজ্জামান সাগরের বেড়ে উঠা। ইতিপূর্বে বাবু ঢাকায় একটা চায়না কোম্পানিতে চাকুরি করত, মাস ৬ আগে তার মামা বাড়িতে নিয়ে এসে ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিন্টনের গাড়ির ড্রাইভার হিসাবে চাকুরি দেন ৬ মাস আগে ভাগ্নেকে বিয়েও দেন মহেশপুরের শ্রীরামপুর গ্রামে। চায়ের দোকানে চা ,পান বিক্রয় করে দুই ভাগ্নেকে অনেক কষ্টে দু:খে বড় করে তোলেন এমনটিই কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের নিকট ভাগ্নে হারানোর ব্যথা প্রকাশ করেন মামা মান্নান ।আত্নহত্যার বিষয়টি নিয়ে বাবু হোসেনের স্ত্রী হৃতু খাতুনের সাথে স্বাক্ষাতকালে তিনি বলেন আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় বাবু ৫/৬ দিন আমার সাথে মহেশপুরে ছিল।গত বৃহঃস্পতিবার আছরের নামাযের সময় আমরা নারকেল বাড়িয়া গ্রামে ফিরে আসি।রাত ৮ টার সময় সে ফোন চার্জে দিয়ে বাইরে চলে যায় তারপর রাত ১২ টার দিকে খবর পায় সে বাড়ির সামনে (সাবেক) চেয়ারম্যান আলা,এর খানকা শরিফের পাশে গাছে আত্নহত্যা করে ঝুলে আছে।দেনা পাওনা নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে কারও সাথে কোন দন্দ আছে কিনা জানতে চাইলে বাবু হোসেনের শ্বাশুড়ি বলেন আমাদের সাথে জামাইয়ের সম্পর্ক খুবই ভাল ছিল। আত্নহত্যা না হত্যা এব্যপারে কোন অভিযোগ আছে কি জিজ্ঞাসা করলে বাবুর স্ত্রী এবং শ্বাশুড়ি বলেন কারও বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই।ঘোড়শাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ লিন্টনের সাথে বাবু হোসেনের আত্নহত্যার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন বাবুকে আমি ভাগ্নে বলে ডাকি।গত শুক্রবারে সে ছুটি নিয়ে শ্বশুর বাড়ি মহেশপুরে যায় তারপর আর আমার সাথে যোগাযোগ হয়নি। বৃহঃস্পতিবার রাত ১,৩০ মিনিটের সময় নারকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের আই সি আমাকে জানায় বাবু হোসেন নামে একজন আত্নহত্যা করেছে। তখন আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পায় বাবু হোসেনের লাশ গাছে ঝুলে আছে সে সময় পুলিশের সহযোগিতায় গাছ থেকে মরাদেহ নামানো হয়। আমার কোন খানকা ঘর নাই, তবে আমার ইউনিয়নের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সাংবাদিকদের নিকট বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে আমাকে নানাভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।বাবু হোসেনের আত্নহত্যার ঘটনাটি নারকেল বাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি বেলাল হোসাইনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রাত ১.৩০ মিনিটের সময় আমার কাছে মোবাইল ফোনে একজন জানায় যে আলামিয়ার খানকাহ্ ঘরের পাশে আম গাছে একটা মরাদেহ ঝুলে আছে।খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যায় এবং মরাদেহটি গাছ থেকে নামায়।পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং সুরাতহাল রিপোর্ট আমি নিজে করেছি তার শরিরের কোথাও কোন কাটা দাগ বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।কোন পক্ষ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগও করেননি।