মোঃ বনি স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোঁখে ধুলো দিয়ে মরণনেশা ইয়াবা বিক্রি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন ইউপি সদস্য সলোক মোল্লা । এতে বিপথগামী হচ্ছে অত্র এলাকার ও সমাজের যুবসমাজ। আর নেশাগ্রস্ত সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে দুশ্চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়ছেন অভিভাবকেরা। প্রতিকার পেতে দ্রুত ওই ইয়াবা কারবারি সলোক মোল্লাকে গ্রেপ্তার দাবি জানিয়েছেন এলাকা বাসি। ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু উপজেলার ২ নং জোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য সলোক মোল্লার বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারির সাথে জড়িত থাকার এই অভিযোগ করেছেন সচেতন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। সলোক মোল্লা হরিশপুর গ্রামের ইশা মোল্লার ছেলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক অভিভাবক বলেন, তার ছেলে কলেজে পড়ে। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তার ছেলের অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেণ তার ছেলেটি ইয়াবার নেশায় আশক্ত হয়ে পড়েছেন। নানাভাবে ছেলেকে বুঝিয়েও তাকে এই পথ থেকে ফেরাতে পারছেন না। ওই ইউপি সদস্যসহ আরও কয়েকজন এই ইয়াবা কারবারের সাথে জড়িত বলেও দাবি অভিভাবকের। তিনি দ্রুত এই ইয়াবা ব্যবসায়িকে গ্রেপ্তার করে যুবসমাজকে রক্ষার দাবি করেণ।
হরিনাকুন্ডু প্রেসক্লাব থেজে কথা হয় সাগর ( ছদ্মনামে) ইয়াবায় আসক্ত এক শিক্ষার্থীর সাথে। তিনি জানান, বছর খানেক আগে এক বন্ধু তাকে একদিন ইয়াবা সেবন করিয়েছিল। এরপর থেকে সেও এই নেশায় আসক্ত হয়েছে। এখন চেষ্টা করেও এর থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। নেশা না করলে শরীরে অস্থিরতা দেখা দেয়। তাই বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে তিনি নেশা করেণ। সলোক মোল্লা নামে ওই ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ইয়াবা কেনেন বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।
সলোক মোল্লা একাধিন বেতন ভোগী ব্যক্তি দিয়ে হরিশপুর খালপাড়া, জটারখাল ও ঠাকুতলাসহ বিভিন্ন স্পটে ইয়াবা রমরমা ব্যবসা করে চলেছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে পুলিশের ঐ ইউনিয়নের বীট অফিসার এস আই আলাউদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টিতে গভীরভাবে খোজ খবর রাখছি। যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে সলোক মোল্লার মোবাইলে বারবার কল করা হলেও তিনি তা ধরেননি।