মোঃ বনি স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাজারে ও মুদির দুকানে এখনো কমেনি সয়াবিন তেলের দাম। যেখানে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমায় বাংলাদেশ সরকার সয়াবিন তেলের বোতলজাত ১৪ টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা থেকে ১৮৫ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন সত্য। কিন্তু হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে এখনো বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল। এলাকাবাসী বলছে যে কোনো পন্যের দাম বাড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ঈদের আনন্দ বিরাজ করে কিন্তু যখন পন্যের দাম কমে যায় তখন দোকানীদের মনেই থাকে না।
হরিণাকুণ্ডু বাজারে তেল কিনতে আসা এক ক্রেতা দৈনিক মাতৃজগত -কে জানান, সংবাদে দেখলাম ১৮ জুলাই থেকে তেলের দাম কমে ১৫২ ও ১৮৫ দরে বিক্রয় হবে কিন্তু বাজারে এসে তার উল্টো।সয়াবিন তেল আমাদের কিনতে হচ্ছে আগের দামে। এবং কোনো পন্যের দাম যদি বাড়ে তো রাতারাতি ব্যাবসায়ীরা পন্যের দাম বাড়িয়ে দেই। কিন্তু কোনো পন্যের দাম কমলে মাসের পর মাস হলেও দাম কমানোর কোনো বালাই থাকে না।
হরিণাকুণ্ডু বাজারের তেল বিক্রেতা মেসার্স রতন ষ্টোর ১৯৭ টাকা, মেসার্স ঘোষ ব্রাদার্স ২০০ টাকা, লিটার,(বোতল) এবং উপজেলার হঠাৎ পাড়া গ্রামের অশিত কুমার খুচরা তেল বিক্রেতা ১৯৭ টাকা দরে খোলা তেল বিক্রয় করছে। সম্প্রতি সরকার বোতলজাত তেলের দাম ১৮৫ টাকা করে লিটার নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু খুচরা বিক্রেতা ও পাইকারি দোকানগুলোতে এখনো আগের দামেই সয়াবিন তেল বিক্রয় দিদারসে চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেসার্স রতন ষ্টোরের মালিক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, আমি জানতাম তেলের বাজার কমে গেছে। তারপর ও বেশী দামে বিক্রয় করা আমার ভূল হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
ঘোষ ব্রাদার্স এর কিরোন কুমার জানান,কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত নতুন মূল্যের তেল আমাদের সরবরাহ করে নি। এ কারণে আগের দামেই কেনা সয়াবিন তেল আমরা বিক্রয় করছি ।
এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহা জানান, কেউ যদি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে বিক্রি করে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হবে।