সেলিম মাহমুদ স্টাফ রিপোর্টারঃ-গাজীপুরের টঙ্গীতে বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও ওয়াসিং কারখানা চলছে অবৈধ গ্যাং সংযোগে।
বারবার অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ গ্যাস সংযোগের রমরমা ব্যাবসার কারবার। গেল কয়েক বছরে দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেও কোনো লাভ হয়নি। তিতাস গ্যাসের অসাধু কিছু ঠিকাদার এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি মহল টাকার বিনিময়ে বিচ্ছিন্ন সংযোগে গ্যাস সরবরাহে ব্যবস্থা করেছে, দিচ্ছে নতুন সংযোগও। জানা যায় জড়িত আছে কিছু অসাধু সাংবাদিক,প্রতিমাসে মাসোহারা খেয়ে সাপোর্ট দিয়ে থাকে।পাশাপাশি ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে কথিত গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে আদায় করা হচ্ছে বিল। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি বৈধ গ্রাহকরা ভুগছেন গ্যাস সংকটে।নিম্নমানের সংযোগ উপকরণের কারণে বাড়ছে বিস্ফোরণ জনিত দুর্ঘটনা।এলাকাবাসীর অভিযোগ আমরা বাড়ি করেছি আমরা বৈধতা করে চুলা নিতে চাই আমরা তা পাচ্ছি না। যে বাড়িতে চুলার বৈধতা আছে ৪ টা তারা ব্যাবহার করে ৫ থেকে ১০ টা চুলা এটা কিভাবে সম্ভব,অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে টঙ্গী সর্বত্র বৈধ সংযোগ থেকে প্রায় তিন গুনের বেশি গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টঙ্গী গাজীবাড়ি,মাছিমপুর,টি এন্ড টি শিলমুন,পাগাড়, জিনু মাকেট,টঙ্গী বিসিক এলাকায় ওয়াসিং কারখানা এবং সাতাইশ,বাদাম, মুদাফা,এরশাদ নগর,কুনিয়া তাঁর গাছ এই সব এলাকা রয়েছে এ সব অবৈধ গ্যাস সংযোগ।অসাধু ঠিকাদার অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে করছে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্য।খোঁজ নিয়ে জানা যায় গ্যাসের ঠিকাদার পরিচয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।এর সাথে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীদের একটি মহল যাঁরা টাকার বিনিময়ে বিচ্ছিন্ন করার পর নতুন করে সংযোগ দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা, ভুয়া কাগজ পত্রের মাধ্যমে কথিত গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিমাসে বিলও আদায় করা হচ্ছে । অপরদিকে বৈধ গ্রাহকরা ভুগছেন গ্যাস সংকটে।
এবিষয়ে তিতাস ট্রান্স টঙ্গী জোনের ম্যানেজার এরশাদ বলেন বারবার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এসব অবৈধ সংযোগ বিরুদ্ধে,গ্যাসের অবৈধ সংযোগ এর খোঁজ পাওয়া গেলে সেসব বিচ্ছিন্ন করা হবে।