গাজীপুর মহানগর টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ৫৩ নং ওয়ার্ডের বড় দেওড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হাতে মারধর সহ লুটপাটের শিকার হয়েছেন মোঃ হেলাল মিয়া ও তার স্ত্রী শরিফা বেগম।ভিকটিম হেলাল মিয়া জানায় শুক্রবার সন্ধা ৭ টায় সে তার বাসার সামনে দোকানে বসে চা খাওয়ার সময় ৫৩ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও কিশোর গ্যাং লিডার হাসিবের নেতৃত্বে- আজাদ, তামিম,আব্দুল্লাহ,রমজান,ফাহিম,দ্বীন ইসলাম সহ সক্রিয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা আমাকে পূর্বের সামন্য বিষয় নিয়ে গালাগালি করতে থাকে আমি তার প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাকে আঘাত করে, এবং আমার ডাক চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী আগাইয়া আসিলে তার উপরও হামলা চালায় তারা। এবং আমার কাছে থাকা নগত ১৯,৫০০ টাকা ও আমার স্ত্রীর গলার স্বর্নের চেইন জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়, যার মূল্য ৪৩,০০০ হাজার টাকা। আমার ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করে দ্রুত চলে যায়। পরবর্তী আমি শহিদ আহসান মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
]কিশোরগ্যাং এটা এখন সমাজের বিষফোড়া[
সারাদেশে, গ্রাম কিংবা শহরের অলিতে গলিতে সক্রিয় ভাবে সংগঠিত হচ্ছে তারা।১০ থেকে ১৫ জন দলবদ্ধ হয়ে তৈরি করছে কিশোর গ্যাং নামক বাহিনী। প্রথমে ছোট ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে জড়িয়ে পড়ছে বড় বড় অপরাধে,চুরি ছিনতাই ডাকাতি সহ অনন্য অপরাধের সাথে রাখছে সক্রিয় ভূমিকা ,তাদের দ্বারা খুনের মতো ঘটনাও ঘটছে সারাদেশে অহরহ।
জুয়া খেলা ও মাদক সেবনে আসক্ত হয়ে টাকার জন্য এরা উন্মাদ হয়ে যায়, মাদক ও জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে তারা হাতে অস্ত্র তুলে নেয়, কেউ কেউ মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে,
এলাকায় গড়ে তোলে কিশোরগ্যাং নামক বাহিনী,ভিন্ন স্টাইলে চুলের কার্টিং,নেই চাকরি,ব্যবহার করে নামি-দামি মোবাইল ফোন ও পোষাক,চলাচল মোটর বাইকে, মানেনা বাবা মা,মানেনা সমাজের কোন মুরুব্বি , চলাফেরা দলবল নিয়ে, খোজ নিয়ে জানা যায় নিজেদের দলবল বড় করার জন্য প্রভাবশালী একটি মহল এদের শেল্টার দিয়ে থাকে।৷প্রশাসনের ভালো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন।
এখনো সময় আছে লাগাম টানুন এসব কিশোর গ্যাং নামক বাহিনীর। তা নাহলে ভবিষ্যতে এদের দ্বারা বড় ধরনের অপরাধ মূলক কাজ সংগঠিত হতে পারে এমনটি মতামত সুশীল নাগরিকদের।