মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৪ লক্ষ জনতার স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জনগনের সংবিধান স্বীকৃত ৫ টি মৌলিক অধিকারের অন্যতম হলো বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাওয়া। কিন্তু মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার কামরুজ্জামান এর কাছে টাকা ছাড়া মিলছেনা কোনো সেবাই।
এমনকি পার্সেন্টিজের আশায় যে কোন রোগীকেই দেওয়া হয় একাধিক পরিক্ষা-নিরিক্ষা।
রোগী এবং তার সাথে আসা লোকজনকে জিম্মি করে দীর্যদিন যাবৎ এই অপকর্মটি চালিয়ে যাচ্ছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের উপ কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুজ্জামান।
তার দাবীকৃত টাকা দিতে না পারলে রোগী এবং তার স্বজনদের লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) জরুরী বিভাগের সারাদিনের চিত্র তুলে ধরা হলো, ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের দাদপুর এলাকার ছোয়েল চন্দ্র বৈদ্য (৮০) নামের এক বৃদ্ধ চিকিৎসা নিতে আসেন জরুরি বিভাগে কিন্তু দায়িত্বে থাকা কামরুজ্জামানের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তার সাথে করা হয় খারাপ আচরন।
সন্ধ্যায় উপজেলার দড়িরচর খাজুরিয়া এলাকার জান্নাত(২২) এর মা জানান তার মেয়ে হাতের ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসেন ওই হাসপাতালের ডাঃ সজল দত্তের কাছে পরে হাতে ফেক্সার হওয়ায় তাকে ব্যান্ডিজের জন্য জরুরি বিভাগে পাঠান ডাঃ সজল দত্ত। প্রথমে তাকে সেবা দিতে অস্বীকৃতি জানালেও পরে দাবীকৃত ৫০০ টাকা এবং ব্যান্ডিজের আনুষঙ্গিক বাহির থেকে কিনে দিলে তার চিকিৎসা করেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপ কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুজ্জামান।
এ ছাড়াও উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের চরলতা এলাকার গৃহবধূ ছালমা বেগম (৩৫) একটি মারামারির ঘটনায় চিকিৎসা নিতে সন্ধ্যায় আসেন জরুরি বিভাগে। কিন্তু তাকে চিকিৎসা সেবা কিংবা ভর্তি করাতে অপারগতা জানান দায়িত্বে থাকা কামরুজ্জামান এবং এই রোগী সাথেও খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান আহত ছালমার স্বামী নান্নু কাজী। ভুক্তভোগীরা বিষয়টি সংবাদ কর্মীদের জানানো হলে বিষয়গুলো জানার জন্য স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা জরুরি বিভাগে ছুটে গেলে তাদের সাথেও খারাপ আচরন করেন এই টাকা খেকো কামরুজ্জামান। জানা গেছে, অভিযুক্ত কামরুজ্জামানের কর্মস্থল হলো উপজেলার উলানিয়া ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকে। কিন্তু স্থানীয় মেডিক্যাল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বছরের পর বছর তিনি মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকতেছেন।
এ ব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ এস এম রমিজ আহাম্মেদ ‘র নিকট জানতে চাইলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এর আগেও এই কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। পুনরায় এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকলে বিষয়গুলো তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এলাকাবাসী টাকা খেকো এই উপ কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কামরুজ্জামানের সকল অপকর্মের তদন্ত করে তাকে শাস্তির আওতায় আনার জন্য জোর দাবী জানায়।
Leave a Reply