-বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলে ‘সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ’ পত্রিকার সৌজন্যে ঈদ পুনর্মিলনী ও কবিতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ–পত্রিকার প্রধান কার্যালয়ে সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ পরিবারের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশিষ্ট ছড়াকার কাশীনাথ মজুমদার পিংকুর সঞ্চালনায় ও সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক কবি আযাদ কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ ও নজরুল গবেষক এডভোকেট আল রুহী। প্রধান অতিথি কবি বুলবুল খান মাহবুব শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি উল্লেখ করে বলেন, “নিজেকে যোগ্য করে তুলতে পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই। নতুন লেখক তৈরিতে সাহিত্য আড্ডার প্রয়োজন রয়েছে। নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ পত্রিকা সে কাজটি করে যাচ্ছে বলে আমি মনে করি।” বিশেষ অতিথি জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এ ধরনের আয়োজন আমাদের মননশীলতাকে প্রফুল্ল করে, সাহিত্যচর্চায় আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।আমি সৃজনশীল পত্রিকা— সময়ের সাহিত্যকণ্ঠের সাফল্য কামনা করি।” বিশেষ অতিথি এডভোকেট জাফর আহমেদ বলেন, ত্রিশ বছর ধরে আমি ‘মজলুমের কণ্ঠ’ প্রকাশ করে আসছি, আমি জানি— পত্রিকা প্রকাশ করা কতটা কঠিন! ‘সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ’ নিয়মিত প্রকাশ করে আযাদ কামাল সেই কঠিনতম কাজটি করে যাচ্ছেন। মূলত এর মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্য আন্দোলনে ভূমিকা রাখছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং পত্রিকার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।” বিশেষ অতিথি এডভোকেট আল রুহী নাতিদীর্ঘ আলোচনায় বলেন, “সাহিত্য—সত্য ও সুন্দরের কথা বলে। সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ পত্রিকায় আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাই। আমি আশা করি সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ পত্রিকা এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।” সভাপতির ভাষণে কবি আযাদ কামাল সার্বিক সহযোগিতার জন্য ‘সময়ের সাহিত্যকণ্ঠ’-পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা কবি বুলবুল খান মাহবুবসহ লেখক-পাঠক- শুভানুধ্যায়ী ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামীতেও সহযোগিতা কামনা করেন।”
অনুষ্ঠানের বিশেষ পর্ব হিসেবে ছিলো কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ—।কবিতাপাঠে অংশ নেন কবি শাহ আব্দুর রশিদ, ড. আরমান আজম, ড. আলী রেজা, সুব্রত দত্ত, দীপক পাল, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,মোহাম্মদ ইমাম হাসান সোহান, মঞ্জুলা সাঈদ, শাহীন চাকলাদার, শামসুজ্জামান জামান, লোকমান হাকিম, সাহিদা খান বর্ষা, কালাম খান আযাদ, মিশুক মঞ্জুর, আরিফ রহমান, তাবাচ্ছুম আরেফিন ছন্দা, সোলায়মান খান মজনু, নির্মল কুমার ভৌমিক, আরিফ আহমেদ, মো. শাহ সুফিয়ান, খন্দকার আবুল কাশেম, এনায়েত করিম, কাজী সোহরাব হোসেন প্রমুখ।