আশীষ বিশ্বাস
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে ডিমলায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখা। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বিজয় চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ডিমলা উপজেলা আমির অধ্যাপক মজিবর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডিমলা উপজেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক কাজ্বী হাবিবুর রহমান, উপজেলা সেক্রেটারি কাজ্বী রুকুনুজ্জামান বকুল, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য ওহেদুদ জামান বাবু, ডিমলা সদর ইউনিয়ন আমির মাওলানা মোঃ নুর মোবাশের, ডিমলা ইউনিয়ন সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
৫ দফা দাবিগুলো হলো:
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
২. জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. বর্তমান সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার করা।
৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। বিরোধী দল ও ভিন্নমতকে দমন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। তারা বলেন, দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিজয় চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামী ডিগ্রি কলেজ মাঠ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জামায়াতে ইসলামী এ ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচনের আগে তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে নীলফামারীতে জামায়াতের রাজনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।