নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, যারা মনে করছে বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, তারা মুর্খের স্বর্গে বাস করছে।
বিএনপির ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না। আওয়ামী লীগের ওপরে চাপ, শেখ হাসিনার ওপর চাপ দিয়ে লাভ নেই। কত চাপ শেখ হাসিনা গিলে ফেলতে পারেন, সেটি আমরা দেখেছি। চাপের মধ্য দিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনা জানেন কীভাবে চেক এন্ড ব্যালেন্স করতে হয়। আর বর্হিবিশ্বের চাপ দিয়ে ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত চাওয়া এ যেন মামার বাড়ির আবদার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মানিকচকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ উদ্দিন বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি, সেই অপশক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। যার পেছনে ছিল জিয়াউর রহমান আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, এই ইতিহাস আমরা সকলেই জানি। কিন্তু বন্ধুদেশ ভারতের সহযোগিতায় তাদের সেই পরিকল্পনা নস্যাত হয়েছিল।
তত্ত্ববধায়ক সরকার প্রসঙ্গে লিটন বলেন, নির্বাচন আসলেই বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী গোষ্ঠী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা বলছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’ আমরা স্পষ্ট জানিয়েছি, দেশের সংবিধান অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে, দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই।
সভায় উপস্থিত হাজারো জনসাধারণের মাঝে ড. ইউনুস প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে নারীদের ঋণ দেয়। সেই ঋণের কারণে কতজন মানুষ গলায় দড়ি দিয়েছে, সেটা পত্রিকা পড়লেই জানতে পারবেন। ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় যখন গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা নারীদের গোয়াল থেকে গরু গিয়েছিল তখন পশ্চিমারা বলেনি কোনো অন্যায় হয়েছে।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিচার স্থগিত চাওয়া মামার বাড়ির আবদার। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ কখনো চলেনি আর চলবেও না’। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে আসলে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের মতো পালিয়ে যাওয়ার পথ পাবেন না ।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি।
বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবু সুফিয়ান সফিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মজনু, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মো. মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন দুলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাছুদুর রহমান মিলন।
সভা সঞ্চালনা করেন বগুড়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম রাজ।