নিজস্ব-প্রতিনিধি শরীয়তপুরঃঘটনা সুত্রে জানা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আতাউর রহমানের শরীয়তপুর জেলা জাজিরা থানার আক্কেল মাহমুদ মুন্সী কান্দির বাড়িতে গত ৭/৮/২০২৪ রোজ বুধবার রাত ০৯ ঘটিকার সময় আইনশৃংখলা পরিস্থতির অবনির সুযোগে দলবল নিয়ে হামলা চালায় এবং ব্যাপক ভাংচুর করে লোকজন নিয়ে।
পরিবারের সদস্যরা হতচকিত হয়ে ভয়ে ডাক চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এবং স্থানীয় কয়েকজন যুবক এগিয়ে আসলে বিএম শামসুল হক দলবল নিয়ে সটকে পরে। তারপর বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অবহিত করলে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই আওয়ামী লীগের নেতা বিএম শামসুল হক কে খোঁজ করলেও খুঁজে পায়নি তাকে তারপর মুঠোফোনে সেনাবাহিনীর অফিসার তাকে সতর্ক মূলক বার্তা দেয় এবং পুনরায় যেন এখানে না আসে
এবং শান্তি শৃঙ্খলার যেন অবনি না ঘটে। তারপর বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
ওই সময় দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি খারাপ থাকায় থানা পুলিশ কর্ম বিরতিতে থাকার কারনে আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারেনি ভুক্তভোগী পরিবারটি।
তবে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে পরে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিষয়টি তিনি জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমানকে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দেন।
তারপর জাজিরা থানা পুলিশ তাকে একাধিক বার তালাশ করেও তাকে না পেয়ে মুঠোফোনে জানতে চায় বিষয়টি কি? কেন তিনি এটা করেছেন? তখন তিনি মুঠোফোনে জানায় ওই পরিবার যেখানে বাড়ি করেছে সেখানে আমি জমি পাবো তাই দখলে নেওয়ার জন্য করেছি তারপর তাকে থানায় আসার জন্য একাধিক বার ডাকা হলেও সে বিভিন্ন অজুহাত দেখি আসেনি।
তারপর জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বিষয়টি ভুমি সংক্রান্ত বলে তিনি ভুক্তভোগী পরিবার কে ভুমি কমিশনারের নিকট পাঠায়। তখন সহকারী ভুমি কমিশনার মোজাম্মেল হোসেন সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে দুই পক্ষকে জমির কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে বসার সময় নির্ধারণ করেন এবং বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএম শামসুল হক সালিশির এক পর্যায়ে কাগজ পত্র নিয়ে আসতেছি বলে চলে যান আর অফিসে আসেননি তারপর তাকে মুঠো ফোনে কল দিলে সে জানান তার পেটে ব্যাথা আসতে পারবে না তাই ভুমি অফিস কোন সুরাহা দিতে পারেনি।
তবে বিএম শামসুল হক যে কোন জমি পাবে না তা সে জনতো তাই তো শালিসি কিংবা থানায় উপস্থিত থাকেন না। তবে বিভিন্ন মানুষের মাধ্যমে পরিবারের কাছে ৪ শতাংশ জমি বা টাকার দাবি জানায়। যেটা কে ভুক্তভোগী পরিবারটি অভিন্ন কৌশলে চাঁদা বাজি করে বলে অভিযোগ করেন।
কিন্তু পরিবার টি বরাবর ই বলে আসছে সে যদি জমি পায় তাহলে আমরা তাকে জমি দিতে রাজি আছি সে মামলা করে রায় নিয়ে আসুক বা কাগজ নিয়ে বসুক
কিন্তু এতে বিএম শামসুল হক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং বিভিন্ন কৌশলে ভুক্তভোগী পরিবার কে ভয়ভীতি মুলক কথা বার্তা এবং হুমকি ধামকি দিতে থাকেন।
পরিবার টি আরো জানান এই জমি নিয়ে ২০১৪ সালে দেওয়ানি মামলা হয় এবং সেই মামলায় তাকে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন আদাল কিন্তু সে আদালতের আদেশ অমান্য করে আমাদের বসবাসে বাধা সৃষ্টি করে এবং আমাদের বৈধ জমিতে ঘর বাড়ি তৈরি করতে দিচ্ছে না কয়েক বছর যাবত! বিএম শামসুল হক কে ওই জমিতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা মামলা নাম্বার ২৪/১৪ দেওয়ানি জাজিরা সহকারী জজ আদালত।
সর্ব শেষ এই ঘটনার জেরে ২/১২/২০২৪ তারিখে বিএম শামসুল হকের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের একটি দল ওই বাড়িতে প্রবেশ করে এবং ভাংচুর সহ নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
এই ঘটনার পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য খলিলুর রহমান জাজিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এসআই তন্ময় বিএম শামসুল হক কে একাধিক বার ডেকেও না পেয়ে তখন জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ আল আমিন হোসেন পরামর্শ দেন যেহেতু বিষয়টি অনেক দিন আগের থেকে চলমান আপনারা আদালতে গিয়ে মামলা করেন আদালত পরিস্থিতি বুঝে আইনগত পদক্ষেপ নিবে।
সেই মোতাবেক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য খলিলুর রহমান বাদী হয়ে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত জাজিরা শরীয়তপুরে একটি মামলা আবেদন করেন,, মামলার নাম্বার সি,আর ৪১২/২৪ (জাজিরা)
বিচারক তন্ময় গাইন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীয়তপুর মামলাটি জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
আজ ২৩/০১/২০২৫ জাজিরা থানায় যোগাযোগ করে জানতে পারি এসআই তন্ময় পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে বিএম শামসুল হক সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পান এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
অভিযুক্তরা হলেন।
১!বিএম শামসুল হক (৪৮)
২! কাউছার আহাম্মেদ শান্ত (২২)
৩! কাইয়ুম আহাম্মেদ শাম্য (২২)
৪!সোনা মিয়া বেপারী (৪৫)
৫!মোঃ রুবেল (ভাগিনা রুবেল)(৩০) সর্ব সাং আক্কেল মাহমুদ মুন্সীকান্দি।
ভুক্তভোগীর আইনজীবী মিজানুর রহমান মোল্লা জানান আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ার কপি পেয়েছি এই বিষয়ে আগামী ৩০-১-২০২৫ তারিখে আদালত পরবর্তী নির্দেশ প্রদান করিবেন!