সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলনের দিনক্ষণ যতোই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের প্রচারণা এবং সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা পৌঁছে দিতে তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন আগামী ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানান আমাদের প্রতিবেদকে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের পূর্বে
আগামী ২’ই ডিসেম্বর- ২০২২ইং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ- এবং ৩’ই ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মিলিত সম্মেলনের দিনক্ষণ চুড়ান্ত করা হয়েছে ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মিলিত সম্মেলন অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বেছে নেয়া হয়েছে। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সহ মহানগর ছাত্রলীগ সম্মেলনের সু নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনার তুমুল ঝড় বইছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি এম আর মামুন সহ একাধিক পদ প্রত্যাশী নেতা সম্মেলনের দিনক্ষণ চুড়ান্ত হওয়ার আগ থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার সানিধ্য পেতে বিভিন্ন উপায়ে লবিং তদবির করে যাচ্ছে । ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বর্তমান সহ-সভাপতি এম আর মামুন আমাদের প্রতিবেদকে বলেন, আগামী নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে আগামী নেতৃত্ব গ্রহণ করবে। তৃণমূল থেকে উঠে আসা অভিজ্ঞ নেতৃত্ব না পেলে আওয়ামী লীগের জন্য বিপদ বয়ে আসবে ।
অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় তৃনমূল থেকে গড়ে ওঠা এম আর মামুনের নাম নাম অন্যতম । বয়স এবং ছাত্রত্ব নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, পিতা মুজিবের রেখে যাওয়া ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে বয়স এবং চলমান নিয়মিত ছাত্রত্বে থেকে সংগঠন করার যে নীতি তা অধিকাংশের মধ্যেই নেই। তবে আমার বয়স এবং ছাত্রত্ব রয়েছে দুটিই রয়েছে।
এছাড়া এম আর মামুন বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে দীর্ঘ দিনের। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে অভিজ্ঞ কর্মীদের সমন্বয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগ গঠিত হবে।
সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী, বিবাহিত, বয়স উর্ধ্ব, অছাত্র, দুর্নীতিবাজ, মামলার আসামী সহ সংগঠন পরপন্থি বিভিন্ন অপকর্মে অভিযুক্তদের ঠাই না হওয়ার পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরেন ছাত্রনেতা এম আর মামুন।