মো:ফয়জুল্লাহ স্বাধীন :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ (মিরপুর- কাফরুল) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী এম সাইফুল্লাহ্ সাইফুল। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনী আসনের বিভিন্নস্থানে জনসংযোগ এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করে আসছেন।
বুধবার (১১ অক্টোবর ২০২৩) তিনি দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানান।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন-আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। ছাত্র জীবন থেকে আমি আওয়ামী লীগ করে আসছি।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছি। বৈরী পরিস্থিতি ফেইস করেছি। সবসময় রাজপথে ছিলাম। রাজপথেই থাকব ইনশাআল্লাহ।
আমি মিরপুরের আদি বাসিন্দা। ঢাকা ১৫ আসনের সকল মানুষ আমার পরিবারের মতো। আমার আত্মীয় স্বজন। আমি ঢাকা-১৫ আসনের মানুষের সকল সমস্যার কথা জানি। সুতরাং জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচিত হয়ে এলাকার সকল সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাবো। প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।
এ সময় তিনি আরো বলেন-বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আজ দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী ও স্মার্ট নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাযাত্রায় এখন বাংলাদেশ । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা বিশ্বনেত্রী খেতাবে বিশ্বের আইডল ও আইকন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং তার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে তিনি নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানান।
এদিকে স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী সহ-সাধারণ ভোটাররা জানান-এম সাইফুল্লাহ্ সাইফুল করোনা কালীন সময়ে অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে গেছেন। বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, দুস্থ অসহায় নিরীহ বঞ্চিত মানুষের পাশে সাহায্য ও সেবা বিলিয়ে দিয়েছেন। সদা হাস্যজ্জল ও অমায়িক মনের মানুষ হিসেবে গরিব, ধনী-দরিদ্র তার কাছে কোনো প্রকার ভেদাভেদ নেই।তাই আমরা ঢাকা-১৫ আসনে এম সাইফুল্লাহ্ সাইফুল ভাইকে চাই ।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে গেছেন।