স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশের ন্যায় তজুমদ্দিন উপজেলায় জমে উঠেছে ঈদের বাজার। বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। দিনরাত প্রায় প্রতিটি গার্মেন্টস ও মার্কেটে চলছে বেচাকেনার ধুম। গত বছরের চেয়ে এবারের ঈদে ক্রেতাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ।
গতবছর ভোলা জেলার, কুন্জুরহাট লালমোহন তজুমদ্দিনে বোরহানউদ্দিন সহ প্রায় যায়গায় অকাল বন্যার প্রভাবে ঈদের কেনাকাটায় ভাটা পড়েছিলো। নিম্ন আয়ের লোকজনও ঈদের কেনাকাটা করতে পারেননি। তবে এবারের চিত্রটা সম্পুর্ণ বিপরীত। এই অঞ্চলে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরেও তুলেছেন। ফলে ঈদের বাজারও গত বছরের তুলনায় বেশি জমজমাট।
আজ রবিবার (২৯ এপ্রিল ভোলা জেলার তজুমদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার জামাকাপর দোখান গুলাতে ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখনও মার্কেটগুলোতে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তান, ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য পেশার লোকজনই কেনাকাটা করছেন। চাকুরিজীবীরা বেতন ও ঈদ বোনাসের টাকা পাওয়ার পর কেনাকাটা করবেন। নিম্ন আয়ের লোকজন ঈদের ৩/৪ দিন পূর্বে ঈদের কেনাকাটা করে থাকেন। এবার ১৫ রমজান থেকেই বিশেষ করে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে ১৮ রমজান থেকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। ২৫ রমজানের পর সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দোকানগুলো খোলা থাকবে।
এবার ঈদে তরুণী ও যুবতীরা ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালের নামে থ্রি পিসগুলো পছন্দ করে ক্রয় করছেন। ভারতীয় কাপড়ের ভিড়ে বাংলাদেশি কাপড়ের কদর অনেকটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে
ছোটদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পার্টি ফ্রক। এছাড়া মার্কেটগুলোতে উঠেছে লেহেঙ্গা ও লং কামিজ। গরমকে সামনে রেখে ছেলে শিশুদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সুতি টি-শার্ট ও বাবা স্যুট। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট। ঈদে তরুণদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে প্রতিবারের মতো এবারেও ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবির সমাহার দেখা গেছে দোকানগুলোতে। সিল্কের ব্যবহার করে খাদি পাঞ্জাবির আকর্ষণীয়তা বাড়ানো হচ্ছে। পোশাক ছাড়াও জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় বাড়ছে। অনেকে পোশাকের সঙ্গে মানানসই গহণাও কিনে নিচ্ছেন।
মার্কেটগুলোতে এখন ক্রেতাদের বেশির ভাগই মহিলা ও তরুণ-তরুণী। আবার অনেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের পছন্দের জামা কাপড় ক্রয় করতে বাজারে এসেছেন। তবে ক্রেতারা জানান , অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম বেশি। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপড়ের দাম কিছুটা কম।