তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ ২৫ শে মার্চ সন্ধ্যায় গণহত্যা দিবসে শহীদদের শ্বরণে তানোর উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজলন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্রে জানা গেছে আজ ২৫ মার্চ (শুক্রবার) সন্ধায় তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ-এর সভাপতিত্বে, উপজেলা পরিষদ চত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পমাল্য-অর্পণের মধ্যদিয়ে, গণহত্যা দিবসে শহীদদের শ্বরণে শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজলন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গণহত্যা দিবসে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন; তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি, জননেতা লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শরিফ খান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন; তানোর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুস্মিতা রায়,তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া,মহিলা বিষয়োক কর্মকর্তা এস এম ফজলুর রহমান, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, ভাইস-চেয়ারম্যান আবুবাক্কার সিদ্দিক।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন; উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিউল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান, বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ ও সাংবাদিকসহ’ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরো উপস্থিত ছিলেন; উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, তোফাজ্জুল হক খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ওহাব হোসেন লালু, দপ্তর সম্পাদক, জিল্লুর রহমান, কামারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলে রাব্বি ফরহাদ, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম স্বপন, চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মজিবর রহমান, পাঁচান্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আতাউর রহমান, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান নয়ন, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শাওন, কামারগাঁ ইউপি সদস্য লুৎফর রহমান, সরনজাই ইউপি সদস্য আব্দুল আলিমসহ, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড- ইউনিয়ন, থানা-উপজেলা পর্যায়র নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় প্রধান অতিথি ময়না চেয়ারম্যান বলেনঃ
বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপেরিয়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তিসংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে ওঠেন।
প্রায় দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ থেকে স্বাধীনতার জন্য উত্তাল ভারতের অগ্নিগর্ভে জন্ম নেন শেখ মুজিব। পরাধীন ভারতে জন্ম নেওয়া শেখ মুজিব শৈশব থেকেই জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতন দেখেছেন। মানুষের দুঃখ, কষ্ট দেখে তাদের মুক্তির সংগ্রামে ছাত্রজীবন থেকেই তিনি নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
ব্রিটিশ শাসন শোষণের হাত থেকে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ মুক্ত হলেও বাঙালির ওপর জেঁকে বসে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ, নিপীড়ন-নির্যাতন। ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্র শুরু থেকেই বাঙালির ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাতে থাকে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তখন থেকেই প্রতিবাদী হয়ে ওঠে বাঙালি। ছাত্রজীবন থেকেই বাঙালির মুক্তির আন্দোলনে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করে। ধারাবাহিক পথ পেরিয়ে শেখ মুজিব বাঙালিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। একাত্তরের ৭ মার্চ তিনি ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়াতে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, তোমাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাক, আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো । বঙ্গবন্ধুর এই চূড়ান্ত নির্দেশই জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শক্তি ও সাহস জোগায়।