তাড়াশ উপজেলা প্রতিনিধিঃ- সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের নাদোসৈয়দপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২ বছরের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ৩ শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীর পাঠদান। একটু বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ চুয়ে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই খাতায়। পলেস্তরা খসে পরে তাদের পোশাকে।
জানা গেছে, এই বিদ্যালয়ে ১৯৬০ সালে নির্মিত চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঝঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনে শিশু শেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় তিন শত কোমলমতি শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠদানে অংশ নেয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গেলে চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র নাইম হোসেন, ছাত্রী আয়সা খাতুন, আরজিনা খাতুনসহ অনেকেই জানায়, আমাদের বই খাতায় ছাদ চুয়ে পানি পড়ে, গায়ে বালি পরে। আমরা ভয়ে ভয়ে ক্লাস করি।
স্থানীয় ছাত্র অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের ৭টি প্লিয়ারে ফাটল ধরেছে,মেঝে দেবে গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনে পাঠদান চলায় ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অমরাদেরও অজানা আতঙ্কে থাকতে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুর ইসলাম জানান ,শ্রেণি কক্ষ সংকটের কারনে ১৯৬০ সালে নির্মিত ঝঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনে নিরুপায় হয়ে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির বিষয়ে একাধিক বার শিক্ষা ও প্রকৌশল বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে জানানো হযেছে। কিন্তু এখনও নতুন ভবন পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আকতারজ্জামান বলেন, ওই বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নতুন ভবনের জন্য প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। আশা করি চলতি বছরেই নতুন ভবন নির্মিত হবে।