মো:ইসমাইল তিতাস(কুমিল্লা)প্রতিনিধি: বিয়ের দাবিতে কুমিল্লার তিতাসে প্রেমিকের বাড়িতে ১ দিন ধরে অনশন করছেন শান্তা আক্তার (২৪) নামে এক নারী। দাবি না মানলে প্রেমিকের বাড়িতে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছে তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার আলীর গাঁও গ্রামে প্রেমিক সায়েমের বাড়িতে এ অনশন শুরু করেছেন তিনি। সায়েম একই গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সায়েম।
শান্তা আক্তার উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের আলীর গাঁও গ্রামের মুনাফ মিয়ার মেয়ে। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি বাবার বাড়িতে থাকেন। তার ১টি মেয়ে ও ১টি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
জানা গেছে, ১ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পরিচয় হয় সায়েমের সঙ্গে। এরপর থেকে তাদের দু’জনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক সময় বিয়ের জন্য ওই নারী সায়েমকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সায়েম।
একপর্যায়ে গতকাল বুধবার প্রেমিক সায়েমের সঙ্গে এক পাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। এরপরই পাত্রী পক্ষ স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারে সায়েমের একটি প্রেমের সম্পর্ক আছে। পরে সায়েমের সঙ্গে ওই পাত্রীর বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। এ কথা শুনে ওই নারী আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছুটে আসেন প্রেমিক সায়েমের বাড়িতে। এসময় বিয়ের দাবীতে অবস্থান নেন ওই নারী। এবং তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি।
ভুক্তভোগী শান্তা আক্তার বলেন,‘বিয়ের আশ্বাসে আমার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক করেছে। আমার সর্বনাশ করেছে সে। এখন বিয়ে না করলে আমি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। মরা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।’সে আমাকে বিয়ের প্রোলভন দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে,অভিযুক্ত প্রেমিক সায়েম বাড়ি থেকে আত্মগোপে যাওয়ার আগে জানান,এই নারীর সাথে আমার কোনো প্রেমের সম্পর্ক নেই। এবং আমি নিজেই টাকা ইনকাম করি,আমি কেনো তার কাছ থেকে টাকা নিবো?এসব অভিযোগ মিথ্যা। যদি এর সত্যতা বা প্রমান দেখাতে পারে তাহলে আমি তাকে বিয়ে করবো। আর না আমার বিরুদ্ধে এই কলঙ্কের অভিযোগ এবং মান ইজ্জত নষ্ট করার কারণে আমি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবো।