বিশেষ প্রতিনিধি এস এম জসিম: ক্লুলেস হত্যা মামলার মূল রহস্য উন্মোচন:
আপন মেয়ের মতো যাকে পড়াশোনা করিয়ে মানুষ করার চেষ্টা করছেন সে মেয়েই মা,কে পরিকল্পনা করে হত্যা করল।
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী থানাধীণ দক্ষিণ কাট্টলী ছধু চৌধুরী আবাসিক এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে ।
গত সপ্তাহে ছদু চৌধুরী আবাসিক এলাকা হইতে সংবাদ আসে বাসায় চোর ডুকে একজন মহিলাকে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখে চোর পালিয়ে যায়।
পাহাড়তলী থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে যাওয়ার পূর্বেই ভিকটিম কে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ।
পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
তাৎক্ষনিক ঘটনার তদন্তে উপ-পুলিশ কমিশনার পশ্চিম সহ পাহাড়তলী পুরো টিম তথ্য উদঘাটনে মাঠে নেমে পড়েন ।
আবাসিক এলাকার চার পাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সন্দেহের তীর ভিকটিম এর মেয়ের উপর যায়।
যার বয়স ১৭ বছর প্রায়। ভিকটিমের মেয়েকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে মূল রহস্য।
ভিকটিমের মেয়ে স্বীকার করে হত্যার মূল ঘটনা এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাঠের বাটাম পাশের জঙ্গল থেকে বের করে দেয়।
পরবর্তীতে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অপর একজনকে গতকাল নোয়াখালী জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি রাব্বি ২৮/৫/২০২৪ইং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি প্রদান করলে ঘটনার পরিপূর্ণ রহস্য উদঘাটিত হয়।
মেয়ের উল্টাপাল্টা জীবন যাপনে বাঁধা প্রদান, নিজ ধর্ম ত্যাগ অন্য ধর্মে পর্দাপনে বাঁধা প্রদান করায় নিজের পালিত মেয়ে এবং পালিত মেয়ের প্রেমিক মিলে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটায় ।
যার মাস্টারমাইন্ড নিজের পালিত কন্যা আয়েশা আক্তার আইমুন।
উপ-পুলিশ কমিশনার পশ্চিম , এসি পাহাড়তলী জোন সহ টিম পাহাড়তলীর সকল সদ্যসদের অক্লান্ত পরিশ্রমে হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়।