মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ইউ এ ই প্রতিনিধি: দুবাইতে বাংলাদেশী স্কুল নির্মাণের দাবী প্রবাসীদের
বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি। দুবাই ও উত্তর আমিরাতে প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি থাকলেও তাদের জন্য নেই কোন বাংলাদেশি স্কুল। এ জন্য আগামী প্রজন্ম মাতৃভাষায় শিক্ষা অর্জনে পিছিয়ে আছে। সরকারি না হলেও ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
বুধবার শারজাহের একটি হোটেলের বলরুমে আয়োজিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগমন উপলক্ষে বৃহত্তর সিলেট প্রবাসীদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভায় এসব দাবী জানানো হয়।
হাজী শফিকুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদের যৌথ পরিচালনায় সভাপতিত্ব করেন আল হারামাইন পারফিউম গ্রুপ অব কোম্পানির সত্বাধীকারি সিআইপি আলহাজ্ব মাহতাবুর রহমান নাসির। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জননেতা আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি।
তিনি বলেন, বিশ্বের দেড়কোটি প্রবাসিদের কথা বলার নিজস্ব কোন প্লাটফর্ম নেই। অন্তত ১২ লাখ আমিরাত প্রবাসিদের সুখ দুঃখ সরকারের কাছে তোলে ধরতে একটি সার্বজনীন প্লাটফর্ম দরকার। বিমানবন্দরে হয়রানি আগের চেয়ে অনেকাংশে কমেছে৷ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি টিম ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের বিমানবন্দরে সব সময় কাজ করছে৷ তাদের মাধ্যমে বিমানবন্দরের অভিযোগ দ্রুত সমাধান করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো৷
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কন্সুল্যেট জেনারেল দুবাই উত্তর আমিরাত এর মান্যবর কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আয়েশা হক, উপসচিব ড. রাশিদ রিজওয়ানা মনির, কনস্যুলেটের সম্মানিত কাউন্সিল শ্রম আবদুস সালাম, প্রথম সচিব এনআইডি বদরুল আহমেদ বিদ্যুৎ, বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল দুবাইয়ের সিনিয়র সহ সভাপতি সিআইপি আইয়ুব আলী বাবুল, বাংলাদেশ সমিতি শারজাহের সিনিয়র সহ সভাপতি ইসমাইল গনি চৌধুরী, প্রবাসী সিলেটী কমিউনিটি নেতা সিআইপি হাজী আব্দুল করিম, সিআইপি রাখাল কুমার গোপ, সিআইপি বদরুল ইসলাম চৌধুরী, সিআইপি হাজী মোহাম্মদ আশিক মিয়া, হাবিবুর রহমান চুনু, গীতি কবি আজাদ লালন, সিআইপি সালেহ আহমেদ।
বক্তব্য রাখেন কাচা উদ্দিন কাচা, সাইফুর রহমান, শেখ লুৎফুর রহমান, মহিলা নেত্রী কাওসার নাজ নাসের, আবদুল মান্নান, রহমত আলী সুয়েব, জি এম জায়গীরদার, ইঞ্জিনিয়ার তৈয়ব আলী তালুকদার, ক্বারী আবু রুকিয়ান, আব্দুল আওয়াল, আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।
কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আবু জাফর চৌধুরী, ইয়াকুব সৈনিক, জনাব আবদুল আলিম, সেলিম উদ্দীন চৌধুরী, সাইফুর রহমান, সেলিম রেজা, শাহজাহান মিয়াজি, নাজমুল ইসলাম, আবু হেনা চৌধুরী, প্রকৌশলী আবু নাসের সহ প্রায় চার শতাধিক কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।
সিলেটবাসী বহির্বিশ্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ জাতী ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করে থাকে সেজন্যই সিলেট বাসির সম্মান সব দেশেই সবার ঊর্ধে। আমিরাতে বাস করেন চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি। সিলেট বিমানবন্দরে আমিরাত থেকে বিদেশি ফ্লাইট সরাসরি চালুর দাবি জানিয়েছেন প্রবাসিরা।
তবে এসব সকল দাবি দাওয়া তোলে ধরতে প্রয়োজন বিজেএমইর মতো একটি শক্তিশালি সংগঠন। দূতাবাসের মাধ্যমে হলেও এ সংগঠন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন সাধারণ প্রবাসিরা।