সুবল রঞ্জন কর, বিশেষ প্রতিনিধি;
নেত্রকোনার সুসং দুর্গাপুর মহারাজার স্মৃতি বিজরিত পাহাড়, নদী খনিজ সম্পদে ভরপুর উপজেলার নাম দুর্গাপুর। সুষ্ঠু তদারকি ও ব্যবস্থাপনার অভাবে দুর্গাপুর উপজেলায় বিপন্ন হচ্ছে নদী নালা, খাল বিল সরকারী ভূমি ও লুটপাট হচ্ছে খনিজ সম্পদ। উপজেলায় মূল্যবান খনিজ সম্পদ, সাদামাটি, মোটা বালু, কালো কয়লা (ঘিলাইন) সহ সরকারী খাস ভূমির পরিমান প্রায় ২৫ হাজার একর। জলমহাল পুকুর, খাল, বিল, নালা, জলাশয় ৪৪টি। বালু মহাল প্রায় শতাধিক। শত বছরের ঐতিহ্যবাহী সুমেশ্বরী নদী, কংস, আত্রাখালী, কামারখালী ঢালা, প্রখ্যাত লাচু বিল সংস্কার না হওয়ায় আজ চাষাবাদে পরিণত হয়েছে। এগুলো রক্ষায় আইনি সহায়তা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। সরকারি সম্পদগুলো সরকার বদলের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণী স্বার্থান্বেষী মহল অসাধু চক্রের যোগসাজশে বেদখলের চলছে মহোৎসব এক অনুসন্ধানে জানা যায় পৌরসভার ভিতরে যে সমন্থ সরকারী ভূমি, খাল, নালা রয়েছে সেগুলি লিজ বা বন্দোবস্থ দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। এই সুযোগে বিশাল বালুরচর (ভূমি) ও খাল গুলি মাটি ভরাট করে বেহাত হয়ে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে। নির্মিত হচ্ছে বিশাল বাড়িঘর ও অট্টালিকা। সরকার বহু চেষ্টা করেও আমাদের সামাজিক সচেতনতার অভাবে এবং দেশপ্রেম না থাকায় দখলবাজদের সঙ্গে “দখলমুক্ত যুদ্ধে” সরকার জয়ী হতে পারছেন না। বেলার সংসৃষ্ট কর্মকতা সংবাদকে বলেন এই কাজটি সরকারের একার নয়, প্রতিটি জনগণের । তা ছাড়া দুর্গাপুর পৌরসভার ভিতরে জনগণের ব্যবহারের জন্য প্রধান গলির ড্রেনের উপর অসাধু ব্যবসায়ীগণ তাদের দোকানে পণ্য পরসা সাজিয়ে পারাপারের রাস্তাগুলি দখল করে রেখছে। এ সকল অব্যবস্থাপণা আশু রোধ কল্পে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে এলাকাবাসী।