মোঃ জহিরুল হক জহির বাকেরগঞ্জ সংবাদদাতাঃ- বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় ২১ নভেম্বর সোমবার সকাল ১০ টায় পৌর অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবুল হাসানাত আব্দু্ল্লাহ এম.পি,পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মাননীয় মন্ত্রী) সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও বরিশাল বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন বিএনপি সরকার আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীকে খুন করেছে। গৌর নদীর হরলাল, আগৌলজারার বাহাদুরকে হত্যা করেছে। বাকেরগঞ্জ এর সন্তান বিএম কলেজের সভাপতি ফারুক শিকদার কে নির্মমভাবে হত্যা করা করেছে। আপনারা বলুন আওয়ামী লীগ সরকার তিন টাইম ক্ষমতায় কই বরিশার বাকেরগঞ্জে কোন বিএনপি নেতাকর্মীকে তো হত্যা করা হয়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসা রাজনীতি করে না। আপনারাই বলুন আমরা কি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি। না আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই রাজনীতি শিখায়নি। বরিশাল একটি বিভাগ এখানে আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছে বলুন তো কোথায় কাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা যদি চাইতাম বিএনপি’র কোন নেতাকর্মী রাস্তায় নামতে পারতো।
২০০১ সালের পরে বরিশালে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। বিএনপি বিচারবহির্ভূত হত্যা কান্ডের কথা বলে। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে কারা? আমরা কি ক্ষমতাকে দখল করছিলাম।গণতান্ত্রিক সরকারকে আপনারা ক্ষমতাচ্যুত করেছেন। সামরিক উদ্দীপনে ক্ষমতা দখল করেছেন আপনারা। আওয়ামী লীগ তো গণতান্ত্রিক দল। জনগণের ভোটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠন করেছে। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় কার্যালয়ে বক্তৃতা দেয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। প্রায়ত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী সহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে ঐদিন হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপি সরকার নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে রাতের আঁধারে হত্যা করেছেন। মায়ের কোলের শিশুকে হত্যা করা করেছে। ওই রাতে অবলা নারী কে হত্যা করা হয়েছে। অথচ যাহারা হত্যাকারী তাদেরকে বিএনপি সরকার পুরস্কৃত করেছে। বিভিন্ন দূতাবাসে তাদেরকে চাকরি দেয়া হয়েছে। তাদেরকে পার্লামেন্টের মেম্বার করা হয়েছে। আপনারা ওই জামায়াত সাথে নিয়ে সরকার গঠন করেছেন। আপনারাই বলুন তাহলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড কারা করেছে। বিএনপি তো দেশকে পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল। গণতন্ত্রকে হত্যার তারা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার নয়। এক সময় আমরা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত ছিলাম। আমাদের ঢাকা যেতে ১২ ঘন্টা সময় লাগতো। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে আমরা ৫ ঘন্টায় ঢাকা যাচ্ছি। দক্ষিণ অঞ্চলে দোয়ারিকা শিকারপুর সেতু নির্মাণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনকে উন্নীত করেছেন। বরিশাল বিমানবন্দর চালু করেছে, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে বিশ্ববিদ্যালয় করণ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সেরনিয়াবাদ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, দবদবিয়া সেতু, তুলাতুলি সেতু, পায়রা সেতু, শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের রূপরেখা তুলে ধরেন দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দু্ল্লাহ। তিনি দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দেয়ার অনুরোধ রাখেন।