জেলা ব্যুরো সিরাজগঞ্জঃ
গঞ্জেরজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের আবাদি জমিতে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের আগাছা পরিচর্যা,সার কীটনাশক স্প্রেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকেরা।
গত মৌসুমে ধানেরে বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পেয়ে এ বছরেও ধান চাষ করেছেন উপজেলার কৃষককেরা ।
ধানের মূল্য বেশি থাকায় চলতি মৌসুমেও মনেরে আনন্দে আবাদি জমিতে সার প্রয়োগ ,কীটনাশক স্প্রে ও আগাছা পরিষ্কার করতে দেখা যায় উপজেলার কৃষকদের।
উপজেলার ১ নং ধামাইনগর ইউপির ফরিদপুর গ্রামের কৃষক স্কুল শিক্ষক অতিনয় মাহাতো এ প্রতিবেদক কে জানান,আমি গত মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ধান রোপন করে বাম্পার ফলন ও ন্যায্য বাজার মূল্য পেয়েছি ।এবছর ধানের বাম্পার ফলনের আশায় এবং ন্যায্য বাজার মূল্য পাওয়ার লক্ষ্য ২৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি ।আবহাওয়ার অনুকুলে থাকলে ও ঝড়হাওয়া না হলে এছরেও বাম্পার ফলন পাবেন এমনটি ধারণা করছেন স্কুল শিক্ষক কৃষক অভিনয় মাহাতো।
তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ সব রকমের সহযোগিতা করছেন।সঠিক সময়ে সার প্রয়োগ ও জমিতে কীটনাশক স্প্রের ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ নানা ভাবে দিক নির্দেশনা প্রদান করছেন।
এদিকে রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষি খাতে তিনি বিভিন্ন ভর্তূকি ও অর্থের বরাদ্দ দিয়ে এ খাতকে আরো সমৃদ্ধি করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস।বর্তমানে রায়গঞ্জ উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমান ২০’৩৭০ হেক্টর ,গত মৌসুমে উপজেলায় ধান চাষ হয়েছে ১৯,১৬৫ হেক্টর।ধানের বাম্পার ফলন ও সরকার কর্তৃক ন্যায্য মূল্য পেয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা মোট ১৯,৩৭০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ করেছেন ।যা গত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।ধান চাষে কৃসকদের আগ্রহী করতে সকল ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে এমনটি নিশ্চত করেছেন রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।