উত্তর -পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভুত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় “মিধিলি ” তে পরিনিত হয়েছে।
এটি আজ ( ১৭ নভেম্বর ২০২৩) ভোর ৬ টায় চট্টগ্রাম সমূ্ুদ্র বন্দর থেকে ৪৭০ কি.মি. দক্ষিণ – পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে ৪৪৫ কি.মি,দক্ষিণ – পশ্চিমে,মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ – পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ – পশ্চিমে অবস্থান করছিল।এটি আরো উত্তর – উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রগতি অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো/ দমকা হাওয়া, ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
যার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়র সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭(সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।