সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অটো রাইসমিল ও গুদামঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান কোটি টাকার উপরে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত মিল মালিক আলমগীর মিয়া।
গত রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে পৌর এলাকার ভোলাচং পুরান বাজারের একতা অটো রাইস মিলে এ ঘটনা ঘটলে দেড় ঘন্টার ব্যবধানে মহুর্তেই ছাই হয়ে যায় গুদামঘর সহ মিলের সব আসবাবপত্র। আগুনে গুদামঘরে থাকা প্রায় ১০০ বস্তা চাল ও ১৫০ বস্তা ধান পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টাখানেকের প্রাণপণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মিল শ্রমিকদের কয়েকজন জানান, ফায়ারসার্ভিস কর্মীরা সময়মত না আশলে আশপাশের বহু দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
এই ঘটনায় মিল মালিকের পাশাপাশি অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ২০ শ্রমিকের পরিবারেও।
নবীনগর পৌরসভার মেয়র এড. শিব শংকর দাশ ঘটনাস্থালে ছুটে যান। এই ঘটনা দেখে তিনি সহ ঘটনাস্থলে ছুটে আসা উৎসুক জনতা সবাই বাকরুদ্ধ।
সোহাতা গ্রামের বাসিন্দা মিল মালিক আলমগীর মিয়া রাতেই ফোন পেয়ে মিলে ছুটে যান। গিয়ে দেখেন ধাওধাও করে আগুন পুরু মিলে ছড়িয়ে পড়ছে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা আগুন নেভাতে ছুটে এলেও আগুনের উত্তাপে কেউ কাছে পৌছাতে পারেনি। আলমগীর মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান,ক্ষতির পরিমাণ এতো বেশি যে আমার জীবনের সব আশা ভরসা শেষ হয়ে গেছে।
পৌর মেয়র এড. শিব শংকর দাশ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আলমগীর মিয়ার মনোবল শক্ত রেখে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরামর্শ দেন।