ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা বিটঘর ইউনিয়নের টিয়ারা গ্রামের আপন চাচাত ভাইদের মধ্যে সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষই ইতিমধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও করে ফেলেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, টিয়ারা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে মোঃ আল আমিন ও অপর পক্ষ মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন মিয়া,মোঃ জহিরুল মিয়া এবং মোঃ বাবুল মিয়ার মধ্যে টিয়ারা মৌজায় বি এস খতিয়ান নং ৭৩১ হাল ১২৫৬,১২৫৭,১২৫৮,১২৫৯,১২৬০,১২৬১,১২৬২,১২৬৩,১২৬৪,১২৬৫,১২৬৬ দাগের ৩৫১ শতকের আন্দরে ৫৫.৫০ শতকের বাড়ি,ভিটা ও পুকুর এবং পুকুর পাড়ের মালিকানা নিয়ে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অনিষ্পত্তিকৃত জায়গায় আল আমিন বসবাসের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়।
মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন,”আমার আপন চাচাত ভাই আল আমিন আমার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে বিভিন্ন দাগে পাওয়া ৫৫.৫ শতাংশ সম্পত্তি জোর করে দখল করে রেখেছে।আমরা তিন ভাইয়ের মধ্যে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুলতানপুরে মেজো ভাই কুমিল্লায়,আর ছোট ভাই ঢাকায় বাড়ি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসতেছি সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের রেখে আসা বাবার সম্পত্তি গুলো তারা ভোগদখল করে আসছে এবং মাঝে মাঝে আমরাও সেগুলো ইজারা দিয়ে টাকা পেয়েছি।গত দুই বছর আগে আমরা তিন ভাই আমাদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে চাইলে তখন আল আমিন সহ তার ছয় ভাই তাদের নিজেদের জায়গা দাবি করলে আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামল দায়ের করি।এখন আল আমিন আমার বাবার ভিটামাটিতে জোর করে দালান নির্মাণ করতেছে।
এদিকে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আল আমিন বলেন,আমি আমার চাচাত ভাইদের কাছ থেকে ৫৫.৫ শতাংশ জায়গা প্রায় ৩৩লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি কিন্তু তারা দলিল করে দিচ্ছে না।তাদেরকে দলিল করে দেওয়ার জন্য অনেকবার অনুরোধ করেছি এবং সালিশি বৈঠকে আসার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তারা আসেনি।এ বিষয়ে আমাদের সমাজ ও গ্রামের সকল নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন তাই আমি ক্রয় সূত্রে জায়গার মালিক হয়ে সকলকে অবগত করে দালান নির্মাণ করতেছি।