ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের হারিয়াকান্দি গ্রামে আল-আমিন (৩৫) নামে এক যুবককে নিজ ঘরের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চোখের সামনে পুত্রকে ঘাতকের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে পিতা রমজান আলী (৭০) গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তুু শেষ রক্ষা হয়নি, ঘটনাস্থলেই পুত্র আল-আমিনের মৃত্যু ঘটে। এসময় ঘাতক মাজহারুল (২৬) খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হয়। পরে স্থানীয় জনতা ঘাতককে পুলিশের হাতে সোর্পদ করে। মাজহারুল একই ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের পুত্র। নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ ঘাতক মাজহারুলকে আটক করে এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়। এদিকে নিহতের পিতা রমজান আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাদকাসক্ত মাজহারুল এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। নিহত আল-আমিনের স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী বাজারে করে এনেছে, আমি তা ব্যাগ থেকে বের করে চৌকিতে রাখতেছি। এমন সময় শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি উলঙ্গ অবস্থায় একজন রামদা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লাইট ধরতেই আমার স্বামীকে বুক বরাবর কোপ দেয়। এতে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে মারা যায়। এ সময় আমার শ্বশুরকেও কুপিয়েছে।’ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মন্ডল জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনাটি রাতে সেলফোনে শুনেছি। এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাই। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরন করেছি। এ ঘটনায় জড়িত মাজহারুলকে জনতা আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করেছে। এছাড়া নিহত যুবকের লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। ছবি-সংযুক্ত