সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের বি-বাড়িয়ার আশুগঞ্জে বেক্সিমকো ফার্মার ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ দুই সহোদয় শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি ও মিডিয়ায় আলোচনার ঝড় শুরু হলে ঔষধ প্রশাসনের চোখে পড়ে বিষয়টি এবং সাথে সাথে ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনা জারি করা হয় এই বলে যে ঐ ব্যাচের নাপা সিরাপ ও ড্রপ বিক্রি বন্ধে নির্দেশনা দেয় ঔষধ প্রশাসন। ঔষধ প্রশাসনের নির্দেশনায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। রোববার উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই দুই শিশুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে আছেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আকিব হোসেন। তার সঙ্গে অধিদপ্তরের দুইজন উপ-পরিচালক, দুইজন সহকারী পরিচালক এবং একজন পরিদর্শক আছেন।
মারা যাওয়া দুই শিশুর মা লিমা বেগম, চাচা উজ্জল মিয়া এবং দাদি নিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন তদন্ত কমিটি। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে কমিটির প্রধান ডা. আকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ঔষধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, স্বজনরা তাদের বলেছেন, ঔষধ খাওয়ানোর পরপরই দুই শিশু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, এবং নাপা সিরাপে কী এমন উপাদান ছিল যে খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করল। বিষয়টি আসলেই রহস্যজনক। এই রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।
আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (০৭) ও মুরসালিন খান (০৫) নামে দুই সহোদয় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। মৃত দুই শিশু দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন খানের ছেলে।