গাইবান্ধা জেলা ব্যুরো প্রধানঃ
গাইবান্ধা শহরের নারীদের ঘরে বসে তৈরি পণ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে ও কিছু অনলাইন প্রডাক্ট হতে মানুষকে প্রতারনার ফাদ থেকে বাচাতে গাইবান্ধায় ৩ দিনব্যাপী নারী উদ্যোক্তা মেলা শুরু হয়েছে। ওমেনস অনলাইন শপিং জোন, উত্তরবঙ্গ উদ্যোক্তা পরিবার ও উই টিম গাইবান্ধা এর যৌথ আয়োজনে গাইবান্ধা শহরের পৌরপার্কে ৩০ মার্চ হতে ১লা পহেলা এপ্রিল অবধি সকাল ১০ হতে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২৩ টি ষ্টলে ৩০জন উদ্যোক্তা তাদের বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে মেলায় অংশগ্রহন করেছেন। উদ্যোক্তা মেলায় পাওয়া যাচ্ছে- নারী-পুরুষ শিশুদের জন্য ব্লক-বাটিক,এমব্রয়ডারি, ষ্টীজ পাঞ্জাবী,ফতুয়া, থ্রিপিছ,বিছানার চাদর, ফ্রক, গায়ের চাদর,শোফার কুশন কভার,গা ঘষা ছোবা, কাচা মাশরুম, গুড়া মাশরুম, মাশরুম আচার, উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সিদল, সুন্দরী ডালা,পুতির তৈরি পণ্য, কুশিকাটার সকল ধরনের পণ্য, কেক, উন্নত জাতের মুগের পাপড়, বিভিন্ন প্রকার আচাড়ের ব্রয়ম, পিঠা, কেক সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। মেলায়-নাকাইহাট এর মীর শারমীন শিমু’র মেহুলী বুটিক, গাইবান্ধা শহরের ব্রীজরোডের রনী চাকীর কল্পতরু বুটিক হাউস, অনলাইন শপিং জোন, নাসরিন ফ্যাশন পার্ক, আসমা কিচেন, অহন, ক্যাজুয়াল কালেকশন, মৌ পেষ্টি এন্ড বেকারী,এম,এল, মাশরুম মহল এন্ড সাজিদ বুটিকস, ইয়াসমিন বুটিক এন্ড ক্রিয়েশন,অন্যান্য হ্যান্ড পেইন্ট, এস,ডট কম, এস,এম অর্গানিক হেয়ার অয়েল, ফাতিহা হ্যান্ডিক্রাফট, সৈয়দ ষ্টুডেন্ট এন্ড কলসালটেন্সি সেন্টার সহ মোট ২৩ টি ষ্টল রয়েছে মেলায়।
“গাইবান্ধা শহরের ব্রীজরোডের কল্পতরু বুটিক হাউস এর প্রোপাইটার রনি চাকী” জানান- নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এই মেলা। আমরা ছোট ছোট কাজ থেকে বড় উদ্যোক্তা হয়েছি। নারীরা ঘরে বসে না থেকে আমাদের দেখে উদ্যোক্তা হয়ে আমাদের সাথে যোগ দিতে পারে। সংসারের কাজের পাশাপাশি নিজেদের হাত খরচের টাকা নিজেরা যেন যোগাড় করতে পারে এবং অন্যের ওপর নির্ভরশীল হতে না হয় সে জন্য উদ্যোক্তা হওয়া। করোনাকালীন সময় থেকে এখন বেচাকেনা অনেকটা ভালো। কোয়ালিটি মেইনটেইন করতে পারলে ব্যবসা ভালো হবে। নারীর আরো পপরিশ্রম করলে ব্যবসা আরো ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে।
” ক্যাজুয়াল কালেকশন এর রেহেনা আক্তার জাহান স্নিগ্ধা” জানান- শখের বসে এই উদ্যোক্তা হওয়া। সে সাথে কিছু কিছু অনলাইনের প্রডাক্ট কিনতে মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। তাদের হাত থেকে বাচার জন্য এই উদ্যোক্তা হওয়া। মানুষকে ভাল প্রডাক্ট দিতে এই মেলায় অংশ নেয়া।
” আসমা কিচেন এর প্রোপাইটার আসমা আক্তার” জানান- আমি হেলথ ফুড প্রডাক্ট জুস বিক্রি করছি। শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ও করোনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমার বানানো ডাবের পানি, পুদিনা পাতা, মরিচ লেবু, চিনি শিখা দিয়ে তৈরি। এটি খেয়ে মানুষ তৃপ্তি পাচ্ছে।
“উত্তরবঙ্গ উদ্যোক্তা পরিবারের এ্যাডমিন ও মেহুলী বুটিক” এর প্রোপাইটার মীর শারমিন শিমু” জানান-করনা মহামারীর পর অনলাইনে সুফল পাচ্ছিনা। যারা ঘরে বসে কাজ করছে তার বেকার হয়ে পড়ছে। উদ্যোক্তাদের সেল বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মেলা করা। গ্রাহকরা ইচ্ছে করলে এখান থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে পারবে। আমার কারখানায় ৪৫ জন কর্মী রয়েছে। আগামীতে মেলা ঘনঘন নেবার প্রত্যাশা রয়েছে। মেয়েরা নিজেদের উদ্যোগে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে।