ক্রাইম রিপোর্টারঃ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আয়াজনে মঙ্গলবার সকালে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা নিউমার্কেটের ঘটনায় সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেনের মুক্তিসহ সকল নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে নগরীর ঐতিহাসিক ভূবনমোহন পার্কে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড.এরশাদ আলী ঈশা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এড.রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. শফিকুল হক মিলন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ,জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন।
আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা ও জয়নুল আবেদীন শিবলী, জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, গোলাম মোস্তফা মামুন, সিরাজুল ইসলাম ও কামরুজ্জামান হেনা, রাজশাহী জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আল-আমিন সরকার টিটু, মহানগর কৃষকদলের আহবায়ক ওয়াদুদ হাসান পিন্টু, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম জনি।
এছাড়াও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের জাকির হোসেন রিমন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিটন ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তারেক বীন খালেদ, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর তাঁতী দলের আহবায়ক আরিফুল শেখ বনি, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার আলম বিপুল, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভ এবং রাবি ছাত্রদল শাখার সদস্য সচিব শামসুজ্জামান চৌধুরী সানিনসত বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু বলেন, ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় গত মঙ্গলবার সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় কোন প্রমান ছাড়াই সম্পূর্ন রাজনৈতিকভাবে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও আইনজীবী এড. মকবুল হোসেনকে আটক করেছেন পুলিশ। শুধু আটক নয় তাঁকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অথচ এই গঠনায় সরকারের পেটয়া বাহিনী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রানের সংগঠন ছাত্রলীগের কুলাঙ্গাররা হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রমান হওয়া সত্ত্বেও বিএনপি এই নেতাকে ছেড়ে না দিয়ে উপরোন্ত তাঁকে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনা সরকারের সাজানো নাটকের অংশ,এই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা ইমন ও হেলমেটধারী শাহাদাৎ হোসেনসহ আরও কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। সেদিন স্টিলের পাইপ ও ধারালো অস্ত্র হাতে হামলা ও সংঘর্ষে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল তাদের।শাহাদাৎ ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসীম উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। অন্যদিকে ধারালো অস্ত্র হাতে নাহিদকে কোপানো বাশার ইমন ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সামাদ আজাদ ওরফে জুলফিকারের অনুসারী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা সমুহে প্রকাশিত হয়েছে। এদের গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ঘটোনার মুল রহস্য উদঘাটন হবে।
এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ছয়জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। তাঁরা সবাই ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। ইমন ও শাহাদাৎ ছাড়া বাকি চারজন হলেন কাইয়ুম, সুজন সরকার, শাহীন সাদেক মীর্জা ও কাউসার হামিদ ওরফে সাদা কাউসার। এই ছয়জনের মধ্যে কাইয়ুম, সুজন ও ইমন কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী নাহিদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান বক্তারা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহীন শওকত বলেন, এই সরকার কোথাও কোন ঘটনা ঘটলে শুধু বিএনপিকে দেখতে পায়। তার মানে বিএনপি বর্তমান সরকারের আতঙ্ক। এই আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে এই ফ্যাসিস্ট ও বিনা ভোটের সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতারিত করতে হবে। রাতের ভোটের এই সরকারকে বিতারিত করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। ঈদের পরেই একদফা দাবিতে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে। সেইসাথে নিরদর্লীয় নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।এই আন্দোলনে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীসহ দেশের সকল পেশাজীবি মানুষকে শরীক হওয়ার আহবান জানান।