স্টাফ রিপোর্টার:”শুরুতে ফেসবুকে পরিচয় এরপর ছেলের ঢাকার অবস্থান খুব ভালো ” এভাবেই ছাত্রলীগ নেতা মো:শাহজাহান ভূইয়া শামীমের সাথে গল্পটা শুরু হয় উম্মে হাবিবা কুলসুমের(২৩)।
হাবিবা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের গরিব পরিবারের সন্তান। ইচ্ছে বিদেশে পড়াশোনা করার।শাহজাহান ভূঁইয়া শামীম তার বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করা এবং ঢাকায় আইএলটিএস ভালো কোচিংয়ে ভর্তি করানোর কথা বলে
হাবিবা কে ঢাকায় আনে।এরপর মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যান এ- ব্লক রোড নং ৩/৫;বাড়ি নং :২৫ এর ৫ম তলা উত্তর পাশের ফ্ল্যাটে সাবলেটে উঠিয়ে দেয়।
হাবিবা জানায়-এরপর তাকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার মুখমন্ডলের বিভিন্ন স্থান ছিলে যায়।লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলেনি। এরপর আমি আইনের সহায়তা নিতে গেলে শামীম আমাকে আগামী নির্বাচনের পরে বিয়ে করার আশ্বাসে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করে।পরে আমি প্রেগন্যান্ট হলে আমাকে বাচ্চা নষ্ট করার করার ঔষধ খাওয়ায়।এরপর হঠাৎ করে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর, মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০২) এ ধর্ষণ করা সহ গর্ভপাত করানোর অপরাধে একটি মামলা হয়। পরে ৮ অক্টোবর রবিবার মোহাম্মদপুরের ৬০ ফিট মধ্য পীরের এলাকার একটি বাসা থেকে সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ এর সহ-সভাপতি শাহজাহান ভূঁইয়া শামীমকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতার পরিবার এবং বন্ধুদের হুমকিতে দিন কাটাচ্ছেন উম্মে হাবিবা। তিনি বিচার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।