নিজস্ব প্রতিবেদক :রাজশাহীর সরকারী বিদ্যালয় গুলোর বেশিরভাগ শিক্ষকই ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বদিউজ্জামাল। তিনি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্কুলের ক্লাস রুমে ভিতরে দুইটি ব্যাচে সর্বমোট ৮০ জন ছাত্র ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ান।
ইতিমধ্যে কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্কুলের ক্লাস রুমের মধ্যে ব্যাচ ভিত্তিক প্রাইভেট পড়ানোর ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসেছে। ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে স্কুলের মধ্যে একাধিক ছাত্র ছাত্রী নিয়ে সে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনায়াসে প্রাইভেট পড়াচ্ছে। তবে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।
কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাঁদের কাছে শিক্ষার্থীদের কোচিং–প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন, যা অনৈতিক। এটিকেই তাঁরা বন্ধ করতে চান।
তবে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এটি বাস্তবায়ন করা দুরূহ হবে। কারণ, সারা দেশে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান; সেখানে কে কাকে পড়াচ্ছেন সেটি দেখবেন কে?
কোচিং–প্রাইভেট একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কিছু শিক্ষার্থী থাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীর চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। আবার সব শিক্ষার্থীর মা–বাবার পক্ষেও পড়াশোনার বিষয়ে সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে তারা কোচিং–প্রাইভেট পড়তেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাঁদের কাছে শিক্ষার্থীদের কোচিং–প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন, যা অনৈতিক। এটিকেই তাঁরা বন্ধ করতে চান। “শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি”
২০১১ সাল থেকে শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিযোগ আছে, নোট-গাইড বা সহায়ক বই এবং কোচিং-প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় রাখা না-রাখা নিয়েই আইনের খসড়াটি এত দীর্ঘ বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। অবশেষে শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়ন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউজ্জামাল প্রতি ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে প্রাইভেট পড়িয়ে ৪০০ টাকা করে মাসিক টাকা আদায় করেন। লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাথে সরকারী মোটা বেতনের টাকা তো আছেই।
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউজ্জামালের সাথে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এর সাথে মুঠে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি আমার স্কুলে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে কিছু জানিন। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বদিউজ্জামাল বলছেন প্রধান শিক্ষক রেজাউল স্যার যানে আমি প্রাইভেট পড়ায়।
কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির এ্যাডভোকেট বাবুল কে বদিউজ্জামাল স্কুলের ভিতর প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার জানা নাই তবে স্কুলে মধ্যে প্রাইভেট পড়ানোর কোন সুযোগ নেই?
এ বিষয়ে মুঠো ফোনে রাজশাহী বোয়ালিয়া শিক্ষা অফিসার মুখলেসুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যদি কেউ স্কুলের মধ্যে প্রাইভেট পড়িয়ে থাকে তা সম্পন্ন নিয়ম বহির্ভূত এ বিষয়ে আমাকে একজন সাংবাদিক অবগত করেছে। যদি ঘটনা সত্যি হয় তার বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা, রাজশাহী বিভাগ,রাজশাহী। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, রাজশাহীর মো: সাইদুর ইসলাম জানান আমরা বিষয় টি দতন্ত পূর্বক ব্যবস্থ গ্রহন করবো।