নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক মানসিক ভারসাম্যহীন চতুর চন্দ্র দাস (৪২) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। আজ বুধবার রাতে এ বিষয়ে মৃতের বড় ভাই ভরত চন্দ্র রবিদাস (৫৫) থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। সন্ধ্যার পরে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত চতুর চন্দ্র দাস উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধরমপুর গ্রামের মৃত রুপচান রবিদাসের দ্বিতীয় ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, চতুর চন্দ্র দাস উপজেলার সদর ইউনিয়নের তিলিহারি গ্রামের নিরেন দাসের বাড়িতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ভারসাম্য হারিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। ৩ আগস্ট বুধবার দুপুরে কোন এক সময় তার শয়ন ঘরের বাঁশের তীরের সাথে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে চতুর চন্দ্র দাসের স্ত্রী মিনতি রানী ঘরে ঢুকলে তিনি দেখেন গলায় গামছা পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়েছে তার স্বামী। তার চিল্লাচিল্লিতে লোকজন ছুটে এসে ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামালে তাকে মৃত অবস্থায় পায়। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
চতুর চন্দ্র দাসের বড় ভাই ভরত চন্দ্র রবিদাস বলেন, দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে বসবাস করতো আমার ছোট ভাই। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তার মানসিক সমস্যা ছিল বলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
চতুর চন্দ্র দাসের স্ত্রী মিনতি রানী বলেন, আমি নিজেই অসুস্থ। আমার স্বামী অস্বাভাবিক আচরণ করেন। দুপুরে ঘরের ভিতরে ঢুকে ঘুমিয়ে গেছে বলে আর ডাকা হয়নি। পরে গিয়ে দেখি তিনি গলায় ফাঁস দিয়েছেন।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।