নওগাঁর নিয়ামতপুরে কলেজ পড়য়া প্রেমিকা শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় প্রেমিক রসুল হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার ভুক্তভোগী কলেজ পড়য়া ওই প্রেমিকার করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। ধর্ষক প্রেমিক রাসুল পার্শবর্তী মান্দা উপজেলার বালুবাজার এলাকার হাটোর গ্রামের বাসিন্দা ফুল মোহাম্মদের ছেলে ও নিয়ামতপুর সরকারী কলেজের এএইচসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, রসুল মোবাইল ফোনে কথা বলে ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাদের এ সম্পর্কের বয়স প্রায় দু’বছর। প্রায় দেড় বছর পূর্বে রসুল ওই প্রেমিকাকে (শিক্ষার্থীকে) নিয়ামতপুর উপজেলার ড্রীমল্যান্ড কফি হাউজে কফি খাওয়াতে নিয়ে যায়। সুযোগ বুঝে সে কফি হাউজের একটি কক্ষে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর আবারো একই কায়দায় শনিবার নিয়ামতপুর খাদ্য গুদাম সংলঘœ একটি মেসে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এসময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এস ধর্ষক রাসুলকে হাতেনাতে আটক করে ধর্ষনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর বাবা-মাকে সংবাদ দেয়। পরে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় ধর্ষক রসুলকে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী জানান, “তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার পর প্রথমবার তাকে ড্রীমল্যান্ড কফি হাউজে একটি কক্ষে ধর্ষন করে প্রেমিক রসুল। এরপর বিষটি পরিবারকে জানানোর কথা বললে সে আমাকে বিয়ের আশ^াস দেয়। তার কথা শুনে তাকে বিশ^াস করে বিষয়টি গোপন করি ও তাকে বিয়ে করতে চাপ দিতে থাকি। কিন্তু সে এ প্রস্তাবে কালক্ষেপন করতে থাকে। সর্ব শেষ শনিবার (৩০ জুলাই) বিয়ের আশ^াসে সে আবারো আমাকে উপজেলার বালাহৈর মাষ্টারপাড়া গ্রামের খাদ্যগুদামের পিছনে আলকাছের মেসে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গিয়ে সে বিয়ে না করে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষন করে আমাকে। অমি ধর্ষকের শাস্তি চাই।”
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষনের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মামলায় ধর্ষক রসুলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।